দক্ষিণ আফ্রিকা দলের তিন সংস্করণেই অধিনায়ক ছিলেন ৩৫ বছর বয়সী দু প্লেসি। তার নেতৃত্বে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে বাজে সময় কাটায় দল। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও সময়টা ভালো যাচ্ছে না তাদের। লাল বলের ক্রিকেটের নেতৃত্ব ছাড়তে চান, এমন আভাস দিয়েছিলেন গত মাসেই।
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তাকে বিশ্রামে রেখে নেতৃত্বভার দেওয়া হয় কুইন্টন ডি কককে। এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও বিশ্রাম দেওয়া হয় এই সংস্করণে ৪৪ ম্যাচে এক সেঞ্চুরিতে এক হাজার ৩৬৩ রান করা দু প্লেসিকে।
ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার পরিচালক গ্রায়েম স্মিথ ওই সময় জানিয়েছিলেন, ডি কককে স্থায়ীভাবে অধিনায়ক করার কথা ভাবছে বোর্ড।
এরপরই এলো দু প্লেসির এই ঘোষণা। সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি জানান, কঠিন হলেও দলের ভবিষ্যৎ নেতা তৈরি করার সুযোগ দিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৬৫ টেস্টে ৯ সেঞ্চুরিতে ৩ হাজার ৯০১ রান করা এই ব্যাটসম্যান।
“এটা ছিল অন্যতম কঠিন সিদ্ধান্ত। কিন্তু কুইন্টন (ডি কক), মার্ক বাউচার ও আমার সতীর্থদের সমর্থন দিয়ে যেতে আমি পুরোপুরি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
২০১২ সালের ডিসেম্বরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম নেতৃত্ব পান দু প্লেসি। সেই থেকে তিন সংস্করণ মিলে মোট ১১২ ম্যাচে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। টেস্টে তার নেতৃত্বে ৩৬ ম্যাচের ১৮টিতে জয়ের স্বাদ পেয়েছে দলটি।
অধিনায়ক হিসেবে ১১টি সেঞ্চুরি ও ২৮টি হাফ-সেঞ্চুরিতে মোট পাঁচ হাজার ১৬৩ রান করেছেন দু প্লেসি।