তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ৫ উইকেটে জিতেছে ওয়েন মর্গ্যানের দল। ২২৩ রানের লক্ষ্য ৫ বল বাকি থাকতে ছাড়িয়ে গেছে সফরকারীরা। সাত ছক্কায় ফিফটি ছুঁয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন ইংলিশ অধিনায়ক।
এর চেয়ে বড় লক্ষ্য তাড়ায় কেবল একটি ম্যাচ জিতেছে ইংল্যান্ড। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতেছিল ২২৯ রান তাড়া করে।
২১ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড স্পর্শ করলেন মর্গ্যান। গত নভেম্বরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২১ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান নিজেই।
সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে টেম্বা বাভুমা ও কুইন্টন ডি ককের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। মাত্র ২২ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে উদ্বোধনী জুটির রান।
ডি ককের বিদায়ে ভাঙে শুরুর জুটি। চার ছক্কা ও এক চারে ২৪ বলে ৩৫ রান করা দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ককে থামান বেন স্টোকস। ৮৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর দ্রুত আরও দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা।
মিডল অর্ডারে দলকে টানেন হাইনরিখ ক্লাসেন। ডেভিড মিলারের সঙ্গে গড়েন ৩১ বলে ৬৪ রানের জুটি। এতে ক্লাসেনের অবদান ২২ বলে ৫০। ৩৩ বলে চারটি করে ছক্কা ও চারে ৬৬ রান করা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে থামিয়ে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙেন টম কারান। পরে বিদায় করেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে।
ক্লাসেনের বিদায়ের পর ঝড় তোলেন মিলার। প্রথম ১১ বলে ১০ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত ২০ বলে দুই ছক্কা ও তিন চারে অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে।
কারান ও স্টোকস নেন দুটি করে উইকেট।
দুই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানের খুনে ব্যাটিংয়ে দ্রুত এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৪৯ বলে ৯১ রানের জুটিতে দৃঢ় ভিত গড়ে ফেরেন বাটলার। ২৯ বলে নয় চার ও দুই ছক্কায় এই কিপার-ব্যাটসম্যান করেন ৫৭ রান।
বেয়ারস্টোর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভাটা পড়েনি রানের গতিতে। তিনে নেমে তিন ছক্কা ও সাত চারে ৩৪ বলে ফিরেন ৬৪ রান করে।
জো ডেনলির অসুস্থতার কারণে সুযোগ পাওয়া দাভিদ মালান বিদায় নেন দুই অঙ্ক ছুঁয়েই। স্টোকসের সঙ্গে চমৎকার এক জুটিতে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান মর্গ্যান। ইংলিশ অধিনায়ক যেন মেতেছিলেন ছক্কার উৎসবে। এদিক-ওদিক বল উড়িয়ে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।
২২ বলে ৭ ছ্ক্কায় ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন মর্গ্যান। ইনিংসে নেই কোনো চার! চার হাঁকিয়ে জয় সঙ্গে নিয়ে ফিরেন মইন আলি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ২২২/৬ (বাভুমা ৪৯, ডি কক ৩৫, ফন ডার ডাসেন ১১, ক্লাসেন ৬৬, মিলার ৩৫, প্রিটোরিয়াস ১১, ফেলুকওয়ায়ো ১, ফোরটান ০*; মইন ১-০-১১-০, কারান ৪-০-৩৩-২, উড ৩-০-৪৭-১, জর্ডান ৪-০-৪৯-০, রশিদ ৪-০-৪২-১, স্টোকস ৪-০-৩৫-২)
ইংল্যান্ড: ১৯.১ ওভারে ২২৬/৫ (রয় ৭, বাটলার ৫৭, বেয়ারস্টো ৬৪, মালান ১১, মর্গ্যান ৫৭*, স্টোকস ২২, মইন ৫*; স্টেইন ৪-০-৪৩-০, এনগিডি ৪-০-৫৫-২, ফেলুকওয়ায়ো ৩.১-০-৩৪-১, শামসি ৩-০-৪০-১, প্রিটোরিয়াস ৪-০-৪০-১, ফোরটান ১-০-১৪-০)
ফল: ইংল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ওয়েন মর্গ্যান
ম্যান অব দা সিরিজ: ওয়েন মর্গ্যান