উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের মধ্যকার ম্যাচের প্রথম দিন শুক্রবার উইকেট পড়েছে মোট ১২টি। মুশফিকের ১৪০ রানের ইনিংসে উত্তরাঞ্চল অলআউট হয় ২৭২ রানে। জবাবে শুরুটা ভালো হয়নি পূর্বাঞ্চলেরও। দিন শেষে তাদের রান ২ উইকেটে ৩!
শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন উত্তরাঞ্চলের দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও জুনায়েদ সিদ্দিক। জুনায়েদকে ফিরিয়ে পূর্বাঞ্চলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন অফ স্পিনার নাঈম।
রনি আর তিনে নামা তানবীর হায়দারকেও দ্রুত ফেরান নাঈম। বিনা উইকেটে ৩৬ থেকে উত্তরাঞ্চলের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৪৬!
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দলটি। দলকে বলতে গেলে একাই টানেন পাঁচে নামা মুশফিক। মাঝে তার সঙ্গে দুটি পঞ্চাশোর্ধ জুটির সঙ্গী ছিলেন নাঈম ইসলাম ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
মুশফিক ১১৭ বলে পূরণ করেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার একাদশ সেঞ্চুরি। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১৫৭ বলে ১৬ চার ও একটি ছক্কায় সাজান ১৪০ রানের ইনিংস। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট থেকে ফিরে আগের ম্যাচে দুই ইনিংসে তিনি করেছিলেন ২ ও ৩৮।
শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ ও মোহাম্মদ আশরাফুলকে হারায় পূর্বাঞ্চল। দুই স্পিনার সানজামুল ও সঞ্জিত সাহা নেন একটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৮২.৪ ওভারে ২৭২ (রনি ২৮, জুনায়েদ ৮, তানবীর ৪, নাঈম ৩১, মুশফিক ১৪০, আরিফুল ৪, মাহিদুল ২৩, সাইফ উদ্দিন ০, সানজামুল ২৯, সাকিল ৩, সঞ্জিত ১*; হাসান মাহমুদ ১৮-৬-৫০-২, নাসির ২-০-৫-০, নাঈম ৩৫.৪-৫-১০৭-৮, সাকলাইন ১৫-৩-৫৪-০, রাহাতুল ৩-০-২১-০, আফিফ ৩-০-১৭-০, আশরাফুল ৬-১-১৭-০)
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস ৪.১ ওভারে ৩/২ (পিনাক ৩, আশরাফুল ০, সাকলাইন ০*; সানজামুল ২.১-০-২-১, সাইফউদ্দিন ১-০-১-০, সঞ্জিত ১-১-০-১)।