তিলক ভার্মা ও যাশাসবি জয়সওয়ালের পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি বাংলাদেশকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল। তিলককে ফিরিয়ে কিছুটা স্বস্তি আনেন তানজিম হাসান সাকিব। তখনও উইকেটে ছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক জয়সওয়াল।
এক প্রান্ত আগলে রাখা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের নৈপুণ্যে বড় সংগ্রহের পথে ছিল ভারত। উইকেটে জমে যাওয়া জয়সওয়ালকে ৪০তম ওভারের পঞ্চম বলে ৮৮ রানে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরান শরিফুল। তার পরের বলেই সিদ্ধশ বীরকে শূন্য রানে আউট করেন তিনি।
এই ওভারেই খেলার দৃশ্যপট বদলে যায়। লাগাম ধরে বাংলাদেশ। চারবারের চ্যাম্পিয়নদের দুইশর নিচে থামিয়ে দেয় তারা।
“টস জেতার পর আমরা শুরুতেই উইকেট নিতে চেয়েছিলাম। ওপেনার দিব্যানশ সাক্সেনার উইকেট পেয়েছিও, কিন্তু তিলক ভার্মা ও জয়সওয়াল ভালো জুটি গড়ে।“
“ইনিংসের মাঝপথে আমাদের মনে হয়েছিল ২৪০ রান তাড়া করতে হবে। কিন্তু ৪০তম ওভারে শরিফুলের বোলিং দৃশ্য পুরো পাল্টে দেয়। ভারতকে ১৮০ রানের নিচে থামিয়ে দেওয়ার পেছনে ছিল দুর্দান্ত বোলিং প্রচেষ্টা। টসের সময় ২২০ রানের নিচে যে কোনো কিছুই মেনে নিতাম আমরা।”
শরিফুল ৩১ রানে দুই উইকেট নেন। দারুণ বোলিং করেন দুই পেসার সাকিব ও অভিষেক মিত্রও। স্পিনার রকিবুল ইসলামও করেন আঁটসাঁট বোলিং। অধিনায়ক বন্দনা করেছেন পুরো বোলিং বিভাগেরই।
১৭৮ রানের লক্ষ্য হলেও দারুণ জমেছিল যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল। শেষ পর্যন্ত ডাকওয়ার্থ ও লুইস আইনে ৩ উইকেটে যেতে বাংলাদেশ।