ইনিংস ও ৪৪ রানে জিতে দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রান করা সফরকারীরা দ্বিতীয় ইনিংসে থেমেছে ১৬৮ রানে। একমাত্র ইনিংসে পাকিস্তান করে ৪৪৫ রান।
ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে যার ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করেছিল বাংলাদেশ, তিনিই ফিরেছেন সবার আগে। সোমবার ৬ উইকেটে ১২৬ রানে দিন শুরু করা সফরকারীরা প্রথম ওভারেই হারায় মুমিনুল হককে।
শাহিন শাহ আফ্রিদির স্টাম্পের বল ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দিলে রিভিউ নেন। তৃতীয় আম্পায়ার অনেকবার দেখেও নিশ্চিত হতে পারেননি ব্যাট ছুঁয়েছে কি না। টিকে যায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত।
রিভিউ নিয়ে একবার বেঁচে যাওয়া রুবেল হোসেন ফিরেন এলবিডব্লিউ হয়ে। দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা লিটন দাসকে এলবিডব্লিউ করে থামান ইয়াসির শাহ। এটি ছিল পাকিস্তান অধিনায়ক আজহার আলির ইনিংসে দ্বিতীয় ও ম্যাচে পঞ্চম সফল রিভিউ।
পরে আবু জায়েদকে ফিরিয়ে দেন ইয়াসির। দেশের বাইরে বাংলাদেশ টানা পাঁচ টেস্ট হারল ইনিংস ব্যবধানে।
২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার নাসিম শাহ। সবচেয়ে কম বয়সে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়া গতিময় এই পেসার জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ৫৮ রানে ৪ উইকেট নেন ইয়াসির।
আগামী এপ্রিলে করাচিতে হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৩৩
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ১২২.৫ ওভারে ৪৪৫
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (আগের দিন ১২৬/৬) ৬২.২ ওভারে ১৬৮ (মুমিনুল ৪১, লিটন ২৯, রুবেল ৫, আবু জায়েদ ৩, ইবাদত ০*; আফ্রিদি ১৬-৬-৩৯-১, আব্বাস ১৭.৪-৬-৩৩-১, নাসিম ৮.২-২-২৬-৪, ইয়াসির ১৭.২-৩-৫৮-৪, শফিক ৩-০-১২-০)
ফল: পাকিস্তান ইনিংস ও ৪৪ রানে জয়ী