জোহানেসবার্গের দা ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে তৃতীয় ওয়ানডেতে রোববার ২ উইকেটে জিতেছে ইংলিশরা। ২৫৭ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ৪০ বল বাকি থাকতে স্পর্শ করে ওয়েন মর্গ্যানের দল।
তিন ম্যাচের সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়। বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।
শেষ দিকে দ্রুত চার উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল প্রেটিয়ারা। কিন্তু মইন আলির দৃঢ়তায় জয়ের স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।
রান তাড়ায় ৬ ওভারে ৬১ রান তুলে সফরকারীদের শুরুটা ছিল উড়ন্ত। ২৩ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৩ রান করা জনি বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন বিউরান হেনড্রিকস। পরের ওভারে জেসন রয়কে ফেরান আরেক পেসার লুথো সিপামলা।
থিতু হওয়ার আগে হেনড্রিক্সকে ফিরতি ক্যাচ দেন মর্গ্যান। চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেটে যথাক্রমে ৭৬ ও ৭০ রানের জুটিতে জয়ের পথ তৈরি করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
৪৯ রান করা জো রুটকে ফিরিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটি ভাঙেন তাবরাইজ শামসি। টম ব্যান্টনকে নিয়ে আরেকটি ৭০ রানের জুটিতে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে আউট হন ডেনলি।
পরের ওভারে ব্যান্টনকে কট বিহাইন্ড করে রোমাঞ্চের আবহ তৈরি করেন হেনড্রিকস। দ্রুত বিদায় নেন টম কারান ও আদিল রশিদও। মইনের অপরাজিত ১৭ রানে স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ে ইংল্যান্ড।
লুঙ্গি এনগিডি ও বিউরান হেনড্রিকস নেন ৩টি করে উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা নড়বড়ে করে দেন অভিষিক্ত সাবিক মাহমুদ। দলীয় ২৩ রানে রিজা হেনড্রিকসকে বোল্ড করে দেন এই ২২ বছর বয়সী এই ডানহাতি পেসার।
টেম্বা বাভুমা এ অধিনায়ক কুইন্টন ডি ককের ৬৬ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় তাঁরা।
ইনিংসের মাঝের ওভারে দারুণ বোলিং করেন দুই স্পিনার আদিল রশিদ ও মইন আলি।
বাভুমাকে এলবিডব্লিউ করে জুটি ভাঙেন শততম ম্যাচ খেলতে নামা রশিদ। পরের ওভারে রাসি ফন ডার ডাসেনকে বোল্ড করেন মইন।
ডি কককেও বোল্ড করে দেন রশিদ। ৮১ বলে ৬৯ রানের ইনিংসের পথে ক্যারিয়ারে ৫ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে যান ডি কক।
১৮৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানো স্বাগতিকরা লড়াকু পুঁজি পায় ডেভিড মিলারের ঝড়ো ইনিংসের কল্যাণে।
অষ্টম উইকেটে সিপামলাকে নিয়ে ৩১ বলে ৫২ রান যোগ করেন মিলার। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে সিপামলার অবদান ১৪ বলে ১০। ৫৩ বলে চারটি করে ছক্কা ও চারে ৬৯ রান করেন মিলার।
স্লগ ওভারে নিজের শেষ ৩ ওভারে ৩৯ রান দেন ক্রিস জর্ডান। ৫ ওভারে ১ মেডেনে ১৭ রানে ১ উইকেট নেওয়া মাহমুদকে আর বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক।
৫৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার রশিদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ২৫৬/৭ (ডি কক ৬৯, হেনড্রিকস ১১, বাভুমা ২৯, ফন ডার ডাসেন ৫, স্মাটস ৩১, মিলার ৬৯*, ফেলুকওয়ায়ো ১৪, বিউরান হেনড্রিকস ৩, সিপামলা ১০*; টম কারান ৯-১-৩৮-০, মাহমুদ ৫-১-১৭-১, জর্ডান ৯-০-৫৯-০, রুট ৭-০-৪২-০, মইন ১০-০-৪২-১, রশিদ ১০-০-৫১-৩)
ইংল্যান্ড: ৪৩.২ ওভারে ২৫৭/৮ (রয় ২১, বেয়ারস্টো ৪৩, রুট ৪৯, মর্গ্যান ৯, ডেনলি ৬৬, ব্যান্টন ৩২, মইন ১৭*, টম কারান ৫, রশিদ ২, জর্ডান ০*; এনগিডি ৯-২-৬৩-৩, বিউরান হেনড্রিকস ১০-০-৬৯-৩, সিপামলা ৯.২-১-৪২-১, শামসি ১০-০-৫৮-১, স্মাটস ৩-০-১২-০, ফেলুকওয়ায়ো ২-০-২৩-১)
ফল: ইংল্যান্ড ২ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজ ১-১ ড্র
ম্যান অব দা ম্যাচ: আদিল রশিদ