নিজের প্রথম ওভারেই পাকিস্তানের তরুণ ওপেনার আবিদ আলিকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান আবু জায়েদ চৌধুরী। শুরুতে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখলেও দিনের বাকি সময় বাংলাদেশের বোলাররাই ছিলেন চাপে। রুবেল হোসেন, ইবাদত হোসেনরা মরিয়া ছিলেন উইকেটের খোঁজে। কিন্তু সাফল্য পাননি তারা দুইজন।
পাকিস্তানের অধিনায়ক আজহার আলিকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন ডানহাতি পেসার আবু জায়েদ। ‘জীবন’ পেয়ে সেঞ্চুরি করা শান মাসুদকে বোল্ড করেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ২ রানে থাকা বাবর আজমের ক্যাচ ফেলে দলের বিপদ আরও ডেকে আনেন ইবাদত।
এতকিছুর পরও দিন শেষে বোলারদের পক্ষ নিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক পেসার গিবসন। তার মতে, সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে পুরো দল।
“আমরা শুরুতে উইকেট পেয়েছিলাম। যা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। শুরুতে যে চাপ তৈরি করতে পেরেছিলাম পরে আর সেটা পারিনি। আমরা ব্যাটসম্যানদের সহজে খেলতে দিয়েছি। অনেক বাউন্ডারি দিয়েছি। কিন্তু এরপরও আমার মনে হয় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।”
“আমরা বাবরকে সুযোগ দিয়েছি, সে আমাদের ভুগিয়েছে। শান মাসুদ পরিপূর্ণ একটা ইনিংস খেলেছে। সে আমাদের তেমন সুযোগ দেয়নি আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত। পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা ভালো ব্যাটিং করেছে। কিন্তু আমি বলব আমাদের চেষ্টার কমতি ছিল না।”
১০৯ রানে এগিয়ে থেকে দিন শেষ করেছে পাকিস্তান। ১৪৩ রানে অপরাজিত আছেন বাবর, ৬০ রানে খেলছেন আসাদ শফিক।
তৃতীয় দিনে বোলারদের ভালো পারফরম্যান্সের প্রত্যাশায় বাংলাদেশের বোলিং কোচ।