উইকেট নিতে হলে ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করতে হবে এবং বল বাইরের কানা নিলে আবেদন করতে হবে, বলছিলেন ধারাভাষ্যকার রজিম রাজা। ড্যানি মরিসনের তো বিশ্বাসই হচ্ছিল না, ক্যাচ নেওয়ার পরও কিপার লিটন কিংবা বাংলাদেশের আর কেউ আবেদন করেনি। আবেদন করার পরিবর্তে একটুর জন্য বল ব্যাটের কানা নেয়নি ভেবে যে আক্ষেপে ব্যস্ত ছিল ফিল্ডাররা!
সফরকারীদের এই ব্যর্থতায় রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিন ‘জীবন’ পেলেন মাসুদ। রুবেল হোসেনের বলে কট বিহাইন্ড হয়েও বেঁচে গেলেন।
ঘটনা ৪৫তম ওভারের। স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন মাসুদ। ঠিক মতো খেলতে পারেননি। বাংলাদেশ দল ভেবেছিল বল ব্যাটের কানা নেয়নি। কিপার লিটন, বোলার রুবেল আর আশেপাশের ফিল্ডারদের ছিল মাথায় হাত। কেউ ধরতে পারেনি, বল স্পর্শ করেছে ব্যাট।
পরে স্নিকোতে দেখা যায়, ব্যাটের কানা ছুঁয়েই বল জমা পড়ে লিটনের গ্লাভসে। সে সময় ৮৬ রানে ছিলেন মাসুদ। পরে তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি।
অবশ্য সেঞ্চুরির পর আর টিকেননি বাঁহাতি ওপেনার। এরপর যোগ করতে পারেননি আর কোনো রান। ১৬০ বলে ১১ চারে ১০০ রান করে ফিরে যান তাইজুল ইসলামের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে।