ইনিংসের শুরুতে হোঁচট খেলেও অধিনায়ক মুমিনুল হক এবং শান্তর জুটিতে বাংলাদেশ শিবিরে ফেরে স্বস্তি। দলের প্রথম আট ব্যাটসম্যানের ছয়জনই পেয়েছেন ভালো শুরু, কিন্তু মোহাম্মদ মিঠুন ছাড়া কেউই পারেননি পঞ্চাশের ঘরে যেতে। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থামে ২৩৩ রানে। সুযোগ হাতছাড়া করার আক্ষেপে পুড়ছে পুরো দল। শান্ত জানিয়েছেন, দ্বিতীয় সুযোগের জন্য অধীর অপেক্ষায় তারা।
“কিছুটা হতাশ। যা হওয়ার হয়েছে। আগামীকালের বোলিং নিয়ে চিন্তা করছি আমরা। যদি ভালো জায়গায় বোলিং করতে পারি তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। আজকের দিন আমাদের খেলা উচিত ছিল। যেটা হয়নি হয়নি, চলে গেছে। আমরা দ্বিতীয় ইনিংস নিয়ে চিন্তা করছি। যদি ভালো জায়গায় বল করতে পারি আমার মনে হয়, ভালো কিছুই হবে।”
“আজকের উইকেট ভালো ছিল, আমার মনে হয়। আমরা যদি দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো পরিকল্পনার সঙ্গে ব্যাটিং করতে পারি, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব। দেখা যাক…। এখন মূল মনোযোগ আমাদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং আর পাকিস্তান দলের দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিংয়ে।”
পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আব্বাসরা সঠিক জায়গায় বলে করে গেছেন নিয়মিত। দিয়েছেন ধৈর্য্যের পরিচয়। চার উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে অল্প রানে থামাতে মূল ভূমিকায় ছিলেন আফ্রিদি। স্বাগতিক বোলারদের পরিকল্পনা অনুসরণ করতে সতীর্থদের পরামর্শ দিয়েছেন ৪৪ রানের ইনিংস খেলা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শান্ত।
“আমি বিশ্বাস করি ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। কারণ, যদি আমরা ভালো জায়গায় বল করতে পারি এটা আমাদের জন্য ভালো হবে। পাকিস্তান সারাদিনই ভালো জায়গায় বোলিং করেছে। আমরা যদি একই জিনিস করতে পারি, শুরুতে উইকেট নিতে পারি এটা আমাদের জন্য ভালো হবে।”
বড় ইনিংস না খেললেও কন্ডিশন ও পাকিস্তানি বোলারদের বিরুদ্ধে ভালো শুরু সফরকারী ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাসের পালে হাওয়া দিচ্ছে। দ্বিতীয় ইনিংসে এই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগাতে চান তারা।
“মুমিনুল ভাই, আমি, লিটন ভাই, মাহমুদউল্লাহ ভাই; খুব ভালো একটা শুরু পেয়েছি। মিঠুন ভাই খুব ভালো একটা ইনিংস খেলেছে। তাই এই বিশ্বাসটা আমাদের ভেতরে আসছে যে, সম্ভব। ওই বিশ্বাস ধরে রেখে যদি দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে পারি তাহলে জুটিগুলোও বড় হবে এবং ব্যক্তিগত রানগুলোও বড় হবে আমি মনে করি।”
……………………………………………………
ট্যাগঃ