ব্যাটসম্যানদের আক্ষেপের দিনে বাংলাদেশের ২৩৩

কন্ডিশন আর উইকেটে পাকিস্তানের পেসারদের জন্য ছিল প্রবল সুবিধা। এর মাঝে প্রথম আট ব্যাটসম্যানের ছয়জন গেলেন ২৫ পর্যন্ত। শুরুর কঠিন কাজটা করলেন মাটি কামড়ে। সেখান থেকে পঞ্চাশ ছাড়াতে পারলেন কেবল একজন-মোহাম্মদ মিঠুন। ব্যাটসম্যানদের সুযোগ হাতছাড়া করার দিনে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে প্রথম দিনেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2020, 01:30 PM
Updated : 7 Feb 2020, 01:45 PM

রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার ৮২ ওভার ৫ বলে ২৩৩ রানে শেষ হয়েছে সফরকারীদের প্রথম ইনিংস।

নাসিম শাহর গতি ভাবাতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। তবে পরীক্ষায় ফেলে মোহাম্মদ আব্বাসের ছোট ছোট সুইং। চার উইকেট নিয়ে সফরকারীদের অল্প রানে গুটিয়ে দিতে মূল কাজটা করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়ায় থামে মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহর ইনিংস। তিনটি দারুণ রিভিউয়ে তামিম ইকবাল, লিটন দাস ও মিঠুনকে বিদায় করে পাকিস্তান। দুটি সম্ভাবনাময় জুটি ভাঙেন পাকিস্তানের গোল্ডেন আর্ম হারিস সোহেল। 

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই অভিষিক্ত সাইফ হাসানকে শূন্য রানে ফেরান আফ্রিদি। পরের ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে তামিমকে এলবিডব্লিউ করেন আব্বাস।

দলে ফেরা শান্তকে নিয়ে কঠিন সময় পার করে দেন অধিনায়ক মুমিনুল, ফেরান স্বস্তি। দুই ব্যাটসম্যান খেলছিলেন আস্থার সঙ্গে। এমন সময় আফ্রিদির স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন মুমিনুল। ভাঙে ৫৯ রানের জুটি।

টেস্টে আগের চার ইনিংস মিলিয়ে ৪৮ রান করা শান্ত ছিলেন প্রথম ফিফটির পথে। লাঞ্চের পর প্রথম ওভারেই আব্বাসের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে কিপারকে ক্যাচ দেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৬ চারে ৪৪ রানে শেষ হয় তার ফেরার ইনিংস।

ছবি: পাকিস্তান ক্রিকেট

শুরুতে একটু নড়বড়ে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে ফিরে পাচ্ছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিনিও থামেন আফ্রিদির অনেক বাইরের বল খেলতে গিয়ে।

শান্ত-মাহমুদউল্লাহকে হারানোর ধাক্কা অর্ধশত রানের জুটিতে সামাল দেন মিঠুন ও লিটন। মাথা ব্যথার কারণ হয়ে ওঠা জুটি ভাঙেন হারিস সোহেল। তার সাদামাটা এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে যান লিটন। ভাঙে ৫৪ রানের জুটি।

তাইজুল ইসলামকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে দেশকে প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি এনে দেন মিঠুন। ৫৩ রানের এই জুটিও ভাঙেন হারিস। বাঁহাতি স্পিনারকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় মিড অফে ক্যাচ দেন তাইজুল।

দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার ১৭ বলের মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে দেয় পাকিস্তান। ২২ রানে জীবন পাওয়া মিঠুন ফেরেন ৬৩ করে। তার ব্যাট থেকেই আসে ইনিংসে বাংলাদেশের একমাত্র ছক্কা। ১৪০ বলের ইনিংসে সাতটি চার মারেন তিনি। টেস্টে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি।

৫৩ রানে ৪ উইকেট নেন আফ্রিদি। হারিস ও আব্বাস নেন দুটি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮২.৫ ওভারে ২৩৩ (তামিম ৩, সাইফ ০, শান্ত ৪৪, মুমিনুল ৩০, মাহমুদউল্লাহ ২৫, মিঠুন ৬৩, লিটন ৩৩, তাইজুল ২৪, রুবেল ১, আবু জায়েদ ০, ইবাদত ০*; আফ্রিদি ২১.৫-৩-৫৩-৪, আব্বাস ১৭-৯-১৯-২, নাসিম ১৬-০-৬১-১, ইয়াসির ২২-২-৮৩-০, হারিস ৬-২-১১-২)