বিসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডে কক্সবাজারে শুক্রবার প্রথম দিন শেষে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে দক্ষিণাঞ্চলের রান ৬ উইকেটে ৪৪৩। সোহান ২২০ বলে ১৯ চার ও ৩ ছক্কায় ১৫৫ রানে অপরাজিত আছেন। ৯ রান নিয়ে খেলছেন ফরহাদ রেজা।
এনামুল ১৫৫ বলে ১৪ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ১২৯ রান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মেহেদি ৮৫ বলে করেন ১১২। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজানো ১০ চার ও ৮ ছক্কায়।
এই সংস্করণে সবশেষ গত নভেম্বরে জাতীয় লিগে খেলেছিলেন মেহেদি। খুলনার হয়ে রংপুরের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছিলেন ১১৯ ও ৫৬।
প্রথম রাউন্ডের দুই সেঞ্চুরিয়ান ফজলে রাব্বি মাহমুদ ও শামসুর রহমানও টেকেননি বেশিক্ষণ। ষষ্ঠ ওভারে পাঁচ বলের মধ্যে এই দুজনকেও ফেরান পেসার রেজাউর। তখন ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে দক্ষিণাঞ্চল।
চতুর্থ উইকেটে আল-আমিনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন এনামুল। তবে পানি পানের বিরতির পর আল-আমিনকে ফিরিয়ে ৪৫ রানের জুটি ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজিব।
এরপর দিনে নিজেদের সেরা সময় কাটায় দক্ষিণাঞ্চল। পঞ্চম উইকেট জুটিতে নুরুল শুরুতে ছিলেন সাবধানী, এনামুল কিছুটা আক্রমণাত্মক।
৪৯ রান নিয়ে লাঞ্চে যাওয়া এনামুল বিরতির পর সাকলাইনকে পরপর চার-ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূরণ করেন ৭১ বলে। পরের ৬২ বলে ছুঁয়ে ফেলেন তিন অঙ্ক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার ২১তম সেঞ্চুরি।
মেহেদি আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৪৩ বলে স্পর্শ করেন পঞ্চাশ। তিন অঙ্কে যেতে লাগে আর মাত্র ৩২ বল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার ষষ্ঠ সেঞ্চুরি।
শেষ বিকেলে মেহেদিকে বোল্ড করে ১৭৫ রানের জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। এর দুই ওভার পর শেষ হয়ে যায় দিনের খেলা।
৭৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পূর্বাঞ্চলের সেরা বোলার রেজাউর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৮৭ ওভারে ৪৪৩/৬ (শাহরিয়ার ১, এনামুল ১২৯, ফজলে মাহমুদ ১২, শামসুর ০, আল-আমিন ১৮, নুরুল ১৫৫*, মেহেদি ১১২, ফরহাদ ৯*; হাসান ২১-১-৭৩-১, রেজাউর ১৩-২-৭৯-৩, নোমান ১১-১-৫৫-০, সাকলাইন ২১-৩-১১৯-১, আফিফ ২-০-১৪-০, আশরাফুল ১২-১-৫৮-০, নাসির ৭-০-৪২-০)।