ইতিহাস গড়ার পথে যুবাদের সামনে নিউ জিল্যান্ড

ফাইনালে খেলার আত্মবিশ্বাস নিয়ে যুব বিশ্বকাপে পা রাখা বাংলাদেশ লক্ষ্য পূরণ থেকে কেবল এক ধাপ দূরে। সেমি-ফাইনালের প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ডের শক্তি-দুর্বলতা সবই জানা আকবর আলীর। ফাইনালে যেতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মূল চ্যালেঞ্জ দেখছেন কিউইদের ব্যাটিং গভীরতায়।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Feb 2020, 02:48 PM
Updated : 5 Feb 2020, 02:48 PM

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ। স্নায়ুচাপ সামলাতে সতীর্থদের স্রেফ আর আট-দশটা ম্যাচের মতো এই ম্যাচ খেলার পরামর্শ দিয়েছেন আকবর।  

“মানসিক ও স্কিল দুই দিক থেকেই আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। এখন সেটা মাঠে প্রয়োগের পালা। সেটা করতে পারলে আশা করি, ফল আমাদের পক্ষে আসবে।”

“আমাদের দলের সবাই রিল্যাক্সড আছে। সেমি-ফাইনাল কিংবা ফাইনালে ওঠার ম্যাচ এভাবে না ভেবে আট-দশটা ম্যাচের মতো নিলেই আমার মতে ফলটা ভালো হবে।”

পচেফস্ট্রুমে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা দুইটায়। এর আগে প্রথম সেমি-ফাইনালে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারায় ভারত।

দুই দলের সবশেষ সিরিজে নিউ জিল্যান্ডে ৪-১ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে কেবল ১১২ রানে গুটিয়ে গিয়ে ৪ উইকেটে হারে তারা। ফাইনালের ওঠার লক্ষ্য ছুঁতে নিউ জিল্যান্ডকে হারানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী আকবর। প্রতিপক্ষের লম্বা ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে বোলারদের সতর্ক করে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।  

“নিউ জিল্যান্ড ভালো ক্রিকেট খেলেই এতদূর আসতে পেরেছে। ওদের লোয়ার অর্ডারে বেশ কয়েকজন ভালো ব্যাটসম্যান রয়েছে, তাই ওদের ব্যাটিং অর্ডার বেশ লম্বা। নিজেদের পরিকল্পনার মধ্যে থেকে আমরা চেষ্টা করব ওদের কম রানে থামাতে। ওদের হারাতে আমাদের বোলারদের ভালো করতে হবে।”

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ১১৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৬৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। এরপর আর কোনো উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে দলটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালে ২৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৫৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল কিউইরা। নবম উইকেট জুটির দৃঢ়তায় দুই বল বাকি থাকতেই লক্ষ্য স্পর্শ করে তারা।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আছে বৃষ্টির শঙ্কা। এ নিয়ে না ভেবে নিজেদের খেলার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ। ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে নিজেদের মেলে ধরে আকবররা এগিয়ে যেতে চান ইতিহাসের পথে।