প্রথম ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গত জুলাইয়ে বিশ্বকাপ জেতার পর এটাই ছিল ইংলিশদের প্রথম ওয়ানডে। ২৫৯ রানের লক্ষ্য ১৪ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে ডি ককের দল।
কেপ টাউনের নিউল্যান্ডসে মঙ্গলবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জেসন রয়ের ব্যাটে শুরুটা ভালো করে ইংল্যান্ড। ৫ চারে ৩২ রান করে রয় ফিরলে ভাঙে ৫১ রানের উদ্বোধনী জুটি।
৪২ বলে ৪০ রান করে ওকসের বিদায়ে ভাঙে ইংলিশদের প্রতিরোধ। শেষ ওভারে ফেরার আগে দলকে আড়াইশ রানে নিয়ে যান ডেনলি। ১০৩ বলে ৬ চার ও দুই ছক্কায় এই অলরাউন্ডার করেন ৮৭ রান।
৩৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার তাবরাইজ শামসি। মর্গ্যানকে ফিরিয়ে শিকার ধরেন বাঁহাতি এই রিস্ট স্পিনার। পরে ফিরিয়ে দেন ব্যান্টন ও স্যাম কারানকে।
রান তাড়ায় শুরুতেই রিজা হেনড্রিকসকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রায় আড়াই বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামা বাভুমার সঙ্গে ১৭৩ রানের জুটিতে দলকে পথ দেখান ডি কক। জুটিতে অগ্রণী ছিলেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
পঞ্চদশ সেঞ্চুরি পাওয়া ডি কককে বোল্ড করে থামান রুট। ততক্ষণে ম্যাচে দৃঢ় অবস্থানে পৌঁছে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১ চার ও এক ছক্কায় ১১৩ বলে ১০৭ রান করে ফিরেন ডি কক।
নিজের তৃতীয় ওয়ানডে খেলা বাভুমাকে দারুণ এক কাটারে এলবিডব্লিউ করে থামান ক্রিস জর্ডান। ১০৩ বলে খেলা বাভুমার ৯৮ রানের ইনিংস সাজানো দুই ছক্কা ও পাঁচটি চারে।
ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া ডি কক জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। আগামী শুক্রবার ডারবানে সিরিজ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজ বাঁচাতে সেখানে জিততেই হবে মর্গ্যানের দলকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৫৮/৮ (রয় ৩২, বেয়ারস্টো ১৯, রুট ১৭, মর্গ্যান ১১, ডেনলি ৮৭, ব্যান্টন ১৮, স্যাম কারান ৭, ওকস ৪০, টম কারান ১৫*, জর্ডান ১*; বিউরান হেনড্রিকস ৮-০-৪৬-১, এনগিডি ৭-০-৪২-০, স্মাটস ১০-০-৪৩-১, ফেলুকওয়ায়ো ৮-০-৪৭-১, শামসি ১০-০-৩৮-৩, সিপামলা ৭-০-৪০-১)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৭.৪ ওভারে ২৫৯/৩ (ডি কক ১০৭, হেনড্রিকস ৬, বাভুমা ৯৮, ফন ডার ডাসেন ৩৮*, স্মাটস ৭*; ওকস ৯-০-৩৬-১, স্যাম কারান ৫-০-২৮-০, রুট ৭-০-৩৫-১, টম কারান ৭-০-৩৮-০, পারকিনসন ৮.৪-০-৪৮-০, জর্ডান ৫-০-৩১-১, ডেনলি ৬-০-৪১-০)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: কুইন্টন ডি কক