আদর্শ প্রস্তুতি ছাড়াই আরেক পরীক্ষার সামনে বাংলাদেশ

ভারত সফরে টেস্ট সিরিজের জন্য আদর্শ প্রস্তুতি না নেওয়ার চড়া মাশুল দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই সিরিজের শেষ ভাগে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছিলেন, খুব ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে পরের সিরিজে খেলবেন। নানা বাস্তবতায় সেটা সম্ভব হয়নি। মুমিনুল হক-মাহমুদউল্লাহদের আরেকটি অগ্নিপরীক্ষার সামনে দাঁড়িয়ে তাই এবারও তাকে বলতে হচ্ছে, প্রস্তুতি আর্দশ হয়নি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2020, 02:08 PM
Updated : 3 Feb 2020, 07:45 PM

ভারত সফরে ছিল না কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ। টেস্ট দলের কয়েক জন ভারতে গিয়েছিলেন জাতীয় ক্রিকেট লিগের কয়েকটি ম্যাচ খেলে। অন্যদিকে, এবার বিসিএলের কেবল একটি রাউন্ড খেলার সুযোগ পেয়েছেন ক্রিকেটাররা।

বিসিএলের ম্যাচ দুটি শেষ হয়েছে সোমবার। পরদিন সন্ধ্যায় দেশ ছাড়বে ডমিঙ্গোর দল। শুক্রবার শুরু হবে টেস্ট, এর আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার খুব একটা সুযোগ নেই সফরকারীদের। বাংলাদেশ কোচ স্বীকার করলেন, ভালো হয়নি তাদের প্রস্তুতি।  

“আদর্শ হয়নি। একটা টেস্ট ম্যাচের অন্তত সাত-আট দিন আগে আমাদের সবসময় সেখানে থাকা দরকার। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা, দিন দুয়েক অনুশীলনে কাটানো জরুরি। আমাদের প্রস্তুতি তো তেমন ভালো হয়নি। কিন্তু আমাদের তো করার কিছু নেই। খেলোয়াড়রা এখানে অনুশীলন করেছে, খেলেছে। বুধবার সকালে আমরা ওখানে (রাওয়ালপিন্ডি) পৌঁছাব। বৃহস্পতিবার প্র্যাকটিস করব। শুক্রবার তো খেলা। তাই এটা ভালো না (প্রস্তুতি)।”

টেস্টে হারের বৃত্তে যেন বন্দী বাংলাদেশ। মুক্তির পথ খুঁজছেন ডমিঙ্গো। বাস্তবতা মেনেই ঠিক করতে চান উপায়।

“আমাদের টেস্ট জিততে হবে, বাংলাদেশের বাইরেও। বাস্তবতা মানলে আমাদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার সুযোগ নেই। টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে আমরা ১০ নম্বর। কিন্তু আমরা সত্যি বাংলাদেশের বাইরে একটা সিরিজ জিততে চাই। সেটা করতে চাইলে দলের অনেক আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে হবে। দেশের বাইরে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই।”

“টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে। ছেলেরা জানে এই সংস্করণে ওদের পারফর্ম করতে হবে। অনেক দিন ধরে আমরা টেস্টে ভালো খেলিনি। দেশের বাইরে টেস্ট সিরিজ জেতার একটা লক্ষ্য আমরা নিজেদের জন্য ঠিক করতে চাই।” 

চট্টগ্রামে বিসিএলের ম্যাচে শুরুতে একটু সহায়তা ছিল পেসারদের জন্য। সবুজ ঘাসে ছাওয়া উইকেটে দাপট দেখিয়েছেন পেসাররা। সময় গড়ানোর সঙ্গে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট সহায়তা করেছে ব্যাটসম্যানদের। মিরপুরের উইকেটে পেসারদের জন্য শুরু থেকেই খুব একটা সহায়তা ছিল না। রাওয়ালপিন্ডিতে খেলতে হতে পারে সবুজ ঘাসের উইকেটে। ডমিঙ্গো মনে করেন, নতুন চ্যালেঞ্জে জিততে বাংলাদেশকে দেখাতে হবে অনেক বেশি নিবেদন।
 
“এখানে খেলোয়াড়রা যে উইকেটে খেলে তাতে পেস ও বাউন্স তেমন থাকে না। আমি নিশ্চিত, রাওয়ালপিন্ডিতে পেস ও বাউন্স থাকবে। ছেলেদের জন্য এটাই বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে। তাদের কেউ কেউ (ব্যাটিং কোচ) নিল ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে ভালোই কাজ করেছে। ম্যাকেঞ্জি টেস্টের খেলোয়াড়দের টেকনিক্যাল দিক নিয়ে কাজ করছে।”
 
“ভারতে বাজে পারফরম্যান্সের কথা মাথায় রেখে খেলোয়াড়দের অনেকে জানে যে বড় পারফরম্যান্স দেখাতে হবে তাদের। ব্যাট হাতে আমাদের আরেকটু কমিটমেন্ট দেখাতে হবে। কন্ডিশন ভালো না হলেও রান করার পথ খুঁজে বের করতে হবে।”