বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ৯৫ ওভারে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল করেছে ২ উইকেটে ৩৯৫ রান। আগের দিন ২১৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল।
দিন শেষে ২২২ রানে অপরাজিত তামিম। ২৮১ বলের ইনিংস মেরেছেন ৩০টি চার। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় দ্বিশতক, ষোড়শ শতক।
প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে তামিমের আগের সর্বোচ্চ ছিল বাংলাদেশের হয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে ২০৬। টেস্টের বাইরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১২ জাতীয় লিগে চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে ১৯২।
প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ২১তম সেঞ্চুরিতে মুমিনুল করেছেন ১১১ রান। ইনিংসের পথে বাংলাদেশ ত্রয়োদশ ব্যাটসম্যান হিসেবে এই সংস্করণে পেরিয়েছেন ৭ হাজার রান।
ম্যাচের প্রথম দিনে মধ্যাঞ্চলের ব্যাটসম্যানরা রান করতে ধুঁকলেও দ্বিতীয় দিনে ছিল উল্টো চিত্র। উইকেট ছিল ব্যাটিং সহায়ক, পূর্বাঞ্চলের ব্যাটসম্যানরা মেতে ওঠেন রান উৎসবে।
তামিম ও পিনাক ঘোষ উদ্বোধনী জুটিতে রান তোলেন বেশ দ্রুততায়। পাত্তাই পাননি মধ্যাঞ্চলের তিন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান, শহিদুল ইসলাম ও মুকিদুল ইসলাম। তাদের বোলিং ছিল সাদামাটা। ৬২ রানের উদ্বোধনী জুটি থামে শুভাগত হোমের অফ স্পিনে পিনাকের বিদায়ে। তার ২৬ রানের ইনিংসে চারটি চারের সঙ্গে ছিল মুস্তাফিজের বলে দারুণ এক ছক্কা।
উইকেট হারিয়ে পথ হারায়নি পূর্বাঞ্চল। বরং তামিম ও মুমিনুলের জুটি ছুটতে থাকে আরও স্বচ্ছন্দে।
১২৬ বলে ১৪ চারে তামিম স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি। সেখানেই না থেমে এগিয়ে যান আরও। ১৮০ বলে পূরণ করেন দেড়শ।
শুভাগতর এক ওভারেই তামিম পা রাখেন দুইশতে, মুমিনুল একশতে। ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁতে তামিমের লেগেছে ২৪২ বল। মুমিনুলের সেঞ্চুরি এসেছে ১৮০ বলে।
দুজনের এই ম্যারাথন জুটি ভাঙে দ্বিতীয় নতুন বলের দ্বিতীয় ওভারে। মুকিদুলের অফ স্টাম্পের বাইরে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন মুমিনুল।
দিনের বাকি সময়ে আর হাসির উপলক্ষ্য পায়নি মধ্যাঞ্চল। তামিম ও ইয়াসির আলি রাব্বি দিন শেষ করেন নিরাপদে। দলের রান পৌঁছে গেছে চারশর কাছে।
মধ্যাঞ্চলের দুই পেসার শহিদুল ও মুকিদুল মিলে ২৯ ওভার বোলিং করেও পাননি কোনো মেডেন। আরেক পেসার মুস্তাফিজ দুটি মেডেন পেয়েছেন বটে। তবে তার বোলিংই ছিল সবচেয়ে হতাশার। ১৯ ওভারে রান গুনেছেন ৮৭। বল হাতে রাখতে পারেননি বিন্দুমাত্র প্রভাব। স্পিনারদের অবস্থাও একইরকম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ২১৩
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৯৫ ওভারে ৩৯৫/২ ( পিনাক ২৬, তামিম ২২২*, মুমিনুল ১১১, ইয়াসির ২২*; মুস্তাফিজ ১৯-২-৮৭-০, শহিদুল ১৪-০-৮৩-০, শুভাগত ৩১-৫-১০৮-১, মুকিদুল ১৫-০-৫১-১, সোহরাওয়ার্দী ১১-১-৩৩-০, সাইফ ৫-০-২৪-০)।