সাইফের ৫ ঘণ্টায় ফিফটি, তাইজুলের ৫ উইকেট

ধীরস্থির ব্যাটসম্যান হিসেবেই দেশের ক্রিকেটে সাইফ হাসানের পরিচিতি। তবে ধীর-লয়ের ব্যাটিংয়ে এবার যেন নিজেকেও ছাড়িয়ে গেলেন এই ওপেনার। ফিফটি করেছেন ৫ ঘণ্টার বেশি সময় নিয়ে। সাইফের উইকেটসহ ৫ শিকার ধরে মধ্যাঞ্চলকে ভুগিয়েছেন পূর্বাঞ্চলের তাইজুল ইসলাম।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Jan 2020, 12:46 PM
Updated : 31 Jan 2020, 01:49 PM

বিসিএলের নতুন আসরের প্রথম দিনে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে ২১৩ রানে গুটিয়ে গেছে মধ্যাঞ্চল।

৫টি চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন সাইফ, এরপরও তার ৫৮ রান এসেছে ২১৪ বলে। খেলেছেন ৩৩৩ মিনিট।

তাইজুল নিয়েছেন ৫৮ রানে ৫ উইকেটে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এই বাঁহাতি স্পিনার ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন ২২ বার।

কুয়াশার কারণে সকালে খেলা শুরু হয় দেরিতে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে মধ্যাঞ্চল।

দুই প্রান্তে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাইফের ব্যাটিং ছিল দু্ই রকম। সৌম্য খেলতে থাকেন সহজাত শট, সাইফ স্বভাবজাত ব্যাটিংয়ে আঁকড়ে রাখেন উইকেট। ১৫ ওভার শেষে ৮ চারে সৌম্যর রান ছিল ৪৬ বলে ৩৬, সাইফের তখন ৪৫ বলে ৮।

বিদায় নেন সৌম্যই আগে। তাকে ফিরিয়ে পূর্বাঞ্চলকে প্রথম উইকেট এনে দেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের হয়ে পাকিস্তান সফর করে আসা পেসার হাসান মাহমুদ।

তিনে নেমে অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত ৪৩ বলে ১০ করে বোল্ড হন আবু জায়েদের বলে। এই পেসার নিজের পরের ওভারে ফেরান অভিজ্ঞ রকিবুল হাসানকে। মোহাম্মদ মিঠুন ৩ রানে আউট হন তাইজুলের বলে।

৭৯ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে এরপর টেনে নেন সাইফ ও তাইবুর রহমান। পঞ্চম উইকেটে ৭২ রানের জুটি গড়েন দুজন।

তাইবুর খেলছিলেন ওয়ানডের গতিতে। জুটি ভাঙে তার বিদায়েই। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৬০ করে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বোল্ড হন তাইজুলের বাঁহাতি স্পিনে।

সাইফ ফিফটি স্পর্শ করেন ১৯১ বলে, ৩০২ মিনিট খেলে। আটে নামা সোহরাওয়ার্দী শুভর ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৩১। এই দুজনকে ফিরিয়ে তাইজুল পূর্ণ করেন ৫ উইকেট।

শেষ দিকে অফ স্পিনার নাঈম হাসান নেন দ্রুত দুটি উইকেট। ৭ রানের মধ্যে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে শেষ হয় মধ্যাঞ্চলের ইনিংস।

শেষ বিকেলে তামিম ইকবাল ও পিনাক ঘোষ শুরু করেন পূর্বাঞ্চলের ইনিংস। দুই বল খেলা হতেই আলোকস্বল্পতায় শেষ হয় দিনের খেলা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

মধ্যাঞ্চল: ৭৫.১ ওভারে ২১৩ (সাইফ ৫৮, সৌম্য ৩৬, শান্ত ১০, রকিবুল ৪, মিঠুন ৩, তাইবুর ৪৬, শুভাগত ৩, সোহরাওয়ার্দী ৩১, শহিদুল ৪, মুস্তাফিজ ২, মুকিদুল ০*; রুবেল ১০-১-৩৪-০, আবু জায়েদ ১৪-৮-৩৮-২, নাঈম ১৩.১-১-৪২-২, হাসান ১৬-৩-৩৪-১, তাইজুল ২২-৮-৫৮-৫)।