কঠিন সময় পেরিয়ে বিশ্বকাপ রাঙানোর স্বপ্নে রুমানা

দলের তিনি প্রাণভ্রোমরা। তার মনও পড়ে থাকে মাঠে। তবে আততায়ী চোটের হানায় বেশ কিছুদিন বাংলাদেশ দল ও মাঠ থেকে দূরে ছিলেন রুমানা আহমেদ। সেই দুঃসময়কে এখন পেছনে ফেলেছেন এই অলরাউন্ডার। ফিরেছেন দলে, অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন দুচোখে স্বপ্নের আবির মেখে। রাঙাতে চান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2020, 02:15 PM
Updated : 30 Jan 2020, 02:58 PM

চোটের কারণে বাংলাদেশের সবশেষ তিন সিরিজের দুটিতে ছিলেন না রুমানা। তবে সবচেয়ে বড় ভরসার ক্রিকেটারকে বিশ্বকাপে পাচ্ছে দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে রোববার অস্ট্রেলিয়ার পথে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশের মেয়েরা।

বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ছিল বিশ্বকাপ দলের অফিসিয়াল ফটোসেশন। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রুমানা জানালেন চোট জয় করে ফিরতে পেরে স্বস্তির কথা।

“আসলেই অনেক ভালো লাগছে। কারণ অনেক কঠিন পরিস্থিতি থেকে ফিরে এসেছি এবং বিশ্বকাপের মতো একটা আসরে খেলছি। অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার বলে মনে হচ্ছে।”

গত সেপ্টেম্বরে রুমানাকে ছাড়াই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার খেলেছে বাংলাদেশ। খুব শক্ত চ্যালেঞ্জ ছিল না, জিততে খুব সমস্যা হয়নি দলের। অক্টোবর-নভেম্বরে পাকিস্তান সফরে তিনি ফিরেছিলেন দলে। এরপর আবার চোটের কারণে যেতে পারেননি কদিন আগে ভারত সফরে। সেখানেও চ্যালেঞ্জ ছিল না শক্ত, বাংলাদেশ জিতেছে।

তবে বিশ্বকাপে রুমানাকে ছাড়া গেলে বাংলাদেশের আশা কমে যেত অনেকটাই। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং মিলিয়ে নিঃসন্দেহে দলের সেরা ক্রিকেটার তিনি। ওয়ানডেতে দেশের সবচেয়ে বেশি রান ও উইকেট তার। টি-টোয়েন্টিতেও দারুণ উজ্জ্বল রেকর্ড।

রুমানা নিজেও জানেন তার ওপর দলের নির্ভরতার কথা। তাই ছোট্ট কথায় জানিয়ে দিলেন নিজের চাওয়া।

“আমি যেহেতু অলরাউন্ডার, আমি চাই অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখাতে। ব্যাটে-বলে দলে অবদান রাখতে চাই বিশ্বকাপে, ভালো কিছু করতে চাই যেন দল এরকম একটা টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারে।” 
বাংলাদেশ দলের অনেকেই অস্ট্রেলিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রথমবার। তবে রুমানা ঘুরে এসেছেন আগেও। আইসিসির উদ্যোগে দুই দফায় ক্যাম্প ও অনুশীলন করেছেন মেয়েদের বিগ ব্যাশ দলের সঙ্গে। শেষবার তিনি ছিলেন মেলবোর্নে, যেখানে এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।

নিজের সেই অভিজ্ঞতা সতীর্থদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছেন রুমানা। তার ধারণা, বিশ্বকাপে উইকেট হবে ব্যাটিং সহায়ক।

“হ্যাঁ, আমি অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছি। মেলবোর্নেই ছিলাম, যা আমার জন্য ভালো হয়েছে। ওখানে উইকেটগুলো ব্যাটারদের পক্ষে থাকে। আমাদের ব্যাটাররা এখন কিছুটা ভালো করছে, আমরা যদি ভালো কিছু করি ও ভালো স্কোর গড়ি, তাহলে বোলারদের জন্য ভালো হবে।”

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ভারতের বিপক্ষে পার্থের ওয়াকায়। তবে বাংলাদেশের মেয়েরা যাচ্ছে বেশ আগেই। নিজেদের ব্যবস্থাপনায় গোল্ডকোস্টে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে মেয়েরা, এরপর আছে আইসিসির দুটি অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ। বিশ্বকাপে ‘এ’ গ্রপে বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়াও আছে অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা।