যদিও গুরুতর কোনো চোট নয়। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে মাঠেও নেমেছিলেন ১৭ বছর বয়সী এই ওপেনার। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শে সতর্কতা হিসেবেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে তাকে।
গত বৃহস্পতিবার কিম্বার্লিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর ওই জঙ্গলে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া দল। ক্রিকেট থেকে কিছুটা দূরে সময় কাটানোই ছিল উদ্দেশ্য। সেখানেই ঘটে এই দুর্ঘটনা। যদিও ঘটনার পর সময় পেরিয়েছে বেশ, তারপরও চিকিৎসকরা ও এই ক্রিকেটারের পরিবার মনে করছে, তার সতর্কতামূলক চিকিৎসা প্রয়োজন। এজন্যই তাকে ফেরানো হচ্ছে দেশে।
কোয়ার্টার-ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে গেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে স্থান নির্ধারণী দুটি ম্যাচ এখনও বাকি তাদের। এভাবে দেশে ফিরতে হওয়া স্বাভাবিকভাবেই হতাশ ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক। নিজের উচিত শিক্ষা হয়েছেও বলে মনে করছেন তিনি।
“টুর্নামেন্ট চলার সময় এভাবে সবাইকে ছেড়ে যাওয়াটা কখনোই ভালো কিছু নয়। তবে আমার বিশ্বাস, পরের দুই ম্যাচে দল প্রত্যাশা পূরণ করবে।”
“প্রাণীদের খুব কাছে যাওয়ার খেসারত দিতে হচ্ছে আমাকে। ভালো শিক্ষা পেয়েছি। আশা করছি, চিকিৎসা শেষ করে দ্রুত মাঠে ফিরতে পারব।”
৮৪ রানের ইনিংস খেলে এবার বিশ্বকাপ শুরু করলেও পরে খুব ভালো করতে পারেননি ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক। তবে অস্ট্রেলিয়ার তরুণ প্রজন্মের অনত্যম প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান মনে করা হচ্ছে তাকে। এর মধ্যেই ভিক্টোরিয়ার হয়ে অভিষেক হয়ে গেছে শেফিল্ড শিল্ডে। প্রথম ম্যাচে করেছেন ফিফটি।