বাউন্স-রিভার্স সুইং সামলানোর প্রস্তুতি মুমিনুল-সাদমানদের

নিরাপত্তা শঙ্কায় পাকিস্তান সফরে না যাওয়া ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন টেস্ট দলের সম্ভাব্য ক্রিকেটারদের নিয়ে। মুমিনুল হক, সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসানদের শেখাচ্ছেন বাউন্স ও রিভার্স সুইং সামলানোর কৌশল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2020, 12:46 PM
Updated : 26 Jan 2020, 01:42 PM

সবশেষ টেস্ট সিরিজে ভারতে ভরাডুবি হয়েছিল বাংলাদেশের। দুই টেস্টই শেষ হয় তিন দিনে। লড়াইয়ের নূন্যতম মানসিকতাও দেখাতে পারেনি তারা। সুনিল গাভাস্কার বলেছিলেন, অর্ডিনারি টেকনিক ও নিবেদন, অর্ডিনারি দল বাংলাদেশ। ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তির সমালোচনা মেনে নিয়েছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল।

ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রস্তুতির ঘাটতি পরিষ্কার ফুটে উঠেছিল। টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া ছিল টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতির জন্য বড় ভুল। স্পিনারদের সামলানোর প্রস্তুতি নিয়ে ভুগেছিল ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ শামি ও উমেশ যাদবের পেসে। অবশ্য রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অফ স্পিনের বিপক্ষেও সুবিধা করতে পারেনি সফরকারীরা।

ম্যাকেঞ্জির অনুমান পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজে পেসই হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। সেখানে বাড়তি বাউন্স ও রিভার্স সুইংয়ে আবার উন্মুক্ত হয়ে যেতে পারে ব্যাটসম্যানদের বাজে টেকনিক। মানসম্পন্ন পেস আক্রমণ ঠেকানোর কাজটা যে মুমিনুল-সাদমান-সাইফরা করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন ম্যাকেঞ্জি।

এমনিতে তিনি সাদা বলে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ। পাকিস্তানে না যাওয়ায় কাজ করছেন লাল বলে। ভারত সফরে কিছুটা কাজ করেছিলেন টেস্ট দলের সঙ্গে। এবার আরও বেশি সময় ধরে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন, বেশ উপভোগও করছেন।

“আমরা ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছি। টি-টোয়েন্টি সিরিজের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন টেস্ট খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করে ভালো লাগছে। প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে এমন নতুন কয়েকজনকে আরও ভালো করে জানার সুযোগ পাচ্ছি। ওদের দক্ষতার উন্নয়নের চেষ্টা করছি। গত কয়েকমাসে আমরা ফল পাইনি তবে এতে ছেলেরা বাজে খেলোয়াড় হয়ে যায়নি। ওদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ক্রিকেট সচেতনতা বাড়াতে আরও বেশি চেষ্টা করতে হবে।”

ভারতে দুই ম্যাচই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। কেবল একটি ইনিংসে ছাড়াতে পেরেছিল দুইশ। পাকিস্তানে অপেক্ষা করছে আরেকটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নিতে চান তিনি।

 “টেস্ট দলের জন্য বাউন্সার খেলা নিয়ে কাজ করছি। আমরা পাকিস্তানের ভালো উইকেটে খেলব যেখানে বল দ্রুত আসবে। পাকিস্তানের পেসাররা হবে সত্যিকারের হুমকি। তারা সব সময়ই ভালো, বিশেষ করে রিভার্স সুইংয়ের ক্ষেত্রে। তাই আমরা এমন বলে অনুশীলন করছি যেটা স্বাভাবিক বলের চেয়ে একটু বাড়তি লাফায়।”

“সপ্তাহজুড়ে আমরা রিভার্স সুইংয়ে অনুশীলন করে যাব। আমরা মুখোমুখি হবো এমন কিছুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। ওদের বেশ কয়েকজন বাঁহাতি পেসার রয়েছে। আমরা অ্যাঙ্গেল নিয়ে কথা বলছি। খেলা কিছুটা সহজ করতে কিভাবে ব্যাট করা যায় সেটা বের করার চেষ্টা করছি।”

আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। ৫ এপ্রিল করাচিতে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।