জোহানেসবার্গ টেস্টে ফলো-অনের শঙ্কায় পড়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৪০০ রানের জবাবে শনিবার দ্বিতীয় দিন শেষে প্রোটিয়াদের রান ৬ উইকেটে ৮৮।
ইংল্যান্ড ইনিংসে দশ নম্বরে নেমে উড খেলেন ৩৫ রানের ইনিংস, এগারোয় নেমে ব্রড করেন ঝড়ো ৪৩। দুজনে মিলে ছক্কা মারেন ৭টি! উড পরে বল হাতে নেন ৩ উইকেট।
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল ৪ উইকেটে ১৯২ রান নিয়ে। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান জো রুট ও অলিভার পোপ পেরিয়ে যান পঞ্চাশ। তবে দুজনের কেউ বড় করতে পারেননি ইনিংস।
৫৯ রানে ফিরেন রুট, ৫৬ রানে পোপ। দুজনকেই বিদায় করেন আনরিক নরকিয়া। পরে স্যাম কারান ও ক্রিস ওকসকেও ফিরিয়ে এই ফাস্ট বোলার পেয়ে যান ৫ উইকেট। নিজের ষষ্ঠ টেস্টে পেলেন তিনি প্রথম ৫ উইকেটের স্বাদ।
৩১৮ রানে নবম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। অপেক্ষা যখন ইনিংস শেষের, উড ও ব্রডের পাল্টা আক্রমণ সেখান থেকেই। ঝড়ো গতির ব্যাটিংয়ে দুজন এলোমেলো করে দেন প্রোটিয়া পেসারদের।
ব্রডের বিদায়ে যখন শেষ হলো ইনিংস, ইংল্যান্ড তখন ছুঁয়ে ফেলেছে ৪০০। শেষ জুটিতে ৮২ রান এসেছে কেবল ৫০ বলে। ৪ ছক্কায় ২৮ বলে ৪৩ করেন ব্রড, ৩ ছক্কায় ৩৯ বলে ৩৫ উড।
মালানকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন মার্ক উড। সেই জুটিই হয়ে থাকে এ দিন দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ জুটি।
রাসি ফন ডার ডাসেন ফিরে যান শূন্য রানে। নেতৃত্ব ও ব্যাটিং নিয়ে চাপে থাকা ফাফ দু প্লেসি শেষ ৩ রানেই। ভরসা হয়ে থাকা এলগারকে ২৬ রানে থামান বেন স্টোকস। শেষ বেলায় আরও দুবার ছোবল দেন উড। তাতে বিধ্বস্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং।
কেবল কুইন্টন ডি কক পাল্টা আক্রমণে করেছেন ৩২ রান। তার ব্যাটেই এখন তাকিয়ে দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৯৮.২ ওভারে ৪০০ (আগের দিন ১৯২/৪) (রুট ৫৯, পোপ ৫৬, বাটলার ২০, কারান ০, ওকস ৩২, উড ৩৫*, ব্রড ৪৩; ফিল্যান্ডার ২০-২-৫০-২, হেনড্রিকস ২৩-৩-১১১-১, নরকিয়া ২৪-১-১১০-৫, প্যাটারসন ২০.২-৩-৮৬-২, প্রিটোরিয়াস ১১-৩-৩৪-০)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪১.৫ ওভারে ৮৮/৬ (এলগার ২৬, মালান ০, ফন ডার ডাসেন ০, দু প্লেসি ৩, ডি কক ৩২*, বাভুমা ৬, নরকিয়া ৬; ব্রড ৯-৩-১৩-০, কারান ৭-৩-১১-১, ওকস ১০-৫-১৬-১, উড ৮.৫-১-২১-৩, স্টোকস ৭-১-২৭-১)।