সেঞ্চুরির দুয়ারে দাঁড়িয়ে হারারে টেস্টের চতুর্থ দিন শুরু করেছিলেন ম্যাথিউস। ইনিংসটি তিনি টেনে নিয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরিতে। শ্রীলঙ্কা নিয়েছে বড় লিড। শেষ দিনে জিম্বাবুয়ের লড়াই ম্যাচ ড্র করার।
৯ উইকেটে ৫১৫ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা। জিম্বাবুয়ে বুধবার চতুর্থ দিন শেষ করেছে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩০ রান নিয়ে।
শেষ দিনের লড়াইয়ের আগে লঙ্কানরা এগিয়ে আছে ১২৭ রানে। জিম্বাবুয়ের আছে সবকটি উইকেট।
প্রায় ১১ বছর আর ৮৫ টেস্টের ক্যারিয়ারে প্রথমবার ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন ম্যাথিউস। দলের ইনিংস ঘোষণার সময় অপরাজিত ছিলেন ঠিক ২০০ রানে।
দিনের শুরুতে শতরান ছুঁতে ৮ রান দরকার ছিল ম্যাথিউসের, ফিফটি করতে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার লাগত ৮ রান। দুজনই স্পর্শ করেন মাইলফলক।
২৭২ বলে দশম টেস্ট সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ম্যাথিউস। তবে ফিফটির পর বেশিদূর এগোতে পারেননি ধনাঞ্জয়া। কাটা পড়েন ৬৩ রানে।
ষষ্ঠ উইকেটে এরপর নিরোশান ডিকভেলাকে নিয়ে ১৩৬ রানের জুটি গড়েন ম্যাথিউস। ডিকভেলাও বিদায় নেন ঠিক ৬৩ রানে।
লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে এরপর এগিয়ে যান ম্যাথিউস। ম্যারাথন ইনিংসে কাঙ্ক্ষিত ডাবল সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ৪৬৮ বল খেলে। তার আগের সর্বোচ্চ ছিল ১৬০।
শ্রীলঙ্কা ইনিংস ঘোষণা করে দেয় এর পরপরই। তবে বোলিংয়ে নেমে শেষ ঘণ্টায় কোনো উইকেট নিতে পারেনি লঙ্কানরা। দুই ওপেনারের দৃঢ়তায় জিম্বাবুয়ে দিন শেষ করে কোনো উইকেট না হারিয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৩৫৮
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১৭৬.২ ওভারে ৫১৫/৯ (ডি.) (আগের দিন ২৯৫/৪) (ম্যাথিউস ২০০*, ধনাঞ্জয়া ৬৩, ডিকভেলা ৬৩, লাকমল ২৭, এম্বুলদেনিয়া ০, রাজিথা ১; জার্ভিস ৩৭-১২-৮৪-০, নিয়াউচি ৩২-৭-৬৯-৩, টিরিপানো ৩১-৩-৮২-১, এনডিলোভু ২৮-৩-১০৭-০, উইলিয়ামস ৩২.২-৩-১০৪-২, রাজা ১৬-০-৬২-৩)।
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ১৭ ওভারে ৩০/০