‘টেনশন নেই’ বার্তা দিয়ে পাকিস্তানের পথে ক্রিকেটাররা

আয়োজন করে যখন বারবার বলতে হয় ‘টেনশন নেই’, তখন সেটি টেনশনের ব্যাপার বৈকি! পাকিস্তানে যাওয়ার আগে মনে শঙ্কার মেঘ কিছুটা না থাকার কারণও নেই। তবে বিমানবন্দরে ক্রিকেটারদের চেহারায় অন্তত শঙ্কার ছায়া নেই। বরং খেলা করছে ঝলমলে রোদ। ক্রিকেটাররা জানালেন, যতটা সম্ভব নির্ভার থেকেই পাকিস্তানে যাচ্ছেন তারা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2020, 03:47 PM
Updated : 22 Jan 2020, 03:47 PM

বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে বুধবার রাতে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানে তিন দফার সফরের প্রথমটিতে বাংলাদেশ খেলবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা, দুই পক্ষের টানাপোড়েন ও কয়েক দফার আলোচনার পর চূড়ান্ত হয়েছে এই সফর। দেশ ছাড়ার আগে গত কয়েকদিনে বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বারবার বলেছেন, নিরাপত্তা শঙ্কা মাথা থেকে সরিয়ে শুধু ক্রিকেটেই মনোযোগ দিতে চান তারা।

নিরাপত্তার শঙ্কা নিয়ে প্রশ্নে বিমানবন্দরে চওড়া হাসিতে সৌম্য সরকার জানালেন, তাদের ভাবনা জুড়ে কেবলই ক্রিকেট।

“ওরকম কিছু ভাবছি না, চিন্তা করলে তো চিন্তা হবেই (নিরাপত্তা নিয়ে)। যতটুকু পারি, টেনশন কম করার চেষ্টা করব।”

“দল হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা ভালো কিছু করার। যারা এবার দলে আছে, সবাই বিপিএলে ভালো পারফর্ম করেছে। সেই ধারাবাহিকতা ভালো রাখলে এই সফরেও ভালো করা সম্ভব। আমি চেষ্টা করব ব্যাটিং-বোলিং দুই দিকেই শতভাগ দেওয়ার।”

ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন জানালেন, সময়ের সঙ্গে মন থেকে সরে গেছে ভয়। এখন দৃষ্টি ভালো ক্রিকেট খেলার দিকে।

“নাহ, এখন আর কোনো টেনশন নেই। আমরা প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য খেলব। ম্যাচ বাই ম্যাচ ধরে এগিয়ে আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমি চেষ্টা করব, যে পরিস্থিতিতেই ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাই, দলের জন্য অবদান রাখার।”

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হয়ে পাকিস্তানে খেলতে গিয়েছিলেন শফিউল ইসলাম। এই পেসার আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন সেবারের অভিজ্ঞতা থেকে।

“কোনো টেনশন নেই। বোর্ড সবকিছু নিশ্চিত হয়েই আমাদের পাঠাচ্ছে, দুর্ভাবনার জায়গা নেই। সবশেষ ইমার্জিং কাপে আমি গিয়েছিলাম। নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা ছিল না। সেই কারণেই সাহসটা বেশি পেয়েছি। জাতীয় দলের খেলায় তো আরও বেশি নিরাপত্তা থাকবে। আমার ব্যক্তিগতভাবে আপত্তি ছিল না।”

“ভালো করে যেন দেশে ফিরতে পারি, এটিই প্রত্যাশা। দেশের জন্য ভালো কিছু করতে চাই আমরা।”

স্থানীয় সময় বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় লাহোর পৌঁছানোর কথা বাংলাদেশ দলের। বৃহস্পতিবার অনুশীলন করবে দল। ম্যাচ তিনটি শুক্র, শনি ও সোমবার। সব ম্যাচই শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায়।