পাকিস্তানে বাড়তি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত মাহমুদউল্লাহ-তামিম

মাশরাফি মুর্তজা টি-টোয়েন্টি খেলেন না, নিরাপত্তা শঙ্কায় যাচ্ছেন না মুশফিকুর রহিম, নিষেধাজ্ঞার জন্য নেই সাকিব আল হাসান। তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ বুঝতে পারছেন, পাকিস্তান সফরে তাদের নিতে হবে বাড়তি দায়িত্ব। অধিনায়ক জানালেন, সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তারা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Jan 2020, 03:03 PM
Updated : 21 Jan 2020, 03:13 PM

ভারত সফরেও চিত্রটা এমনই ছিল। সেবার দেশের সফলতম ব্যাটসম্যান তামিম ছিলেন না পারিবারিক কারণে। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ছিলেন মুশফিক। তবে পাকিস্তান সফর নানা কারণেই আলাদা। তাই সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাঁধে দায়িত্বও বেশি।

কড়া নিরাপত্তার মাঝে থাকতে হবে বলে সতীর্থদের উজ্জ্বীবিত রাখার চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে তামিম-মাহমুদউল্লাহকে। সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার হিসেবে দলকে পথ দেখানো তাদেরই দায়িত্ব। ওপেনিংয়ে তামিম আর ফিনিশিংয়ে মাহমুদল্লাহর ওপর অনেক বেশি নির্ভর করবে দল।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ছিল বাংলাদেশের প্রস্তুতি ক্যাম্পের শেষ দিন। বুধবার রাত আটটায় দেশ ছাড়বে দল। এর আগে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানালেন, পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন তারা আর সে অনুযায়ী নিচ্ছেন ব্যবস্থা।

“আমি ও তামিম-আমরা দুজনই ব্যক্তিগতভাবে বুঝতে পারছি যে আমাদের দায়িত্ব বেশি থাকবে। টপ অর্ডারে তামিমের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি কাজে আসবে। ও খুব ভালো ছন্দে আছে, রান করেছে এই বিপিএলে।”

“আমি চেষ্টা করব আমার জায়গা থেকে পারফর্ম করার। ওরও চেষ্টা থাকবে ওর জায়গা থেকে পারফর্ম করার। ক্রিকেট একটি দলীয় খেলা, আমি সবসময় এটা বিশ্বাস করি। দল হিসেবে যদি আমরা ভালো খেলতে পারি তাহলে আমার মনে হয়, ভালো ফলাফল করার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

তামিম ইকবাল ছাড়া বাংলাদেশের আর সব ব্যাটসম্যানেরই ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন হয়। টপ অর্ডারের কোনো কোনো ব্যাটসম্যান কখনও ৭/৮ নম্বরেও ব্যাট করেন। পাকিস্তানে তো ওপেনারদের কারো কারো মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করা নিশ্চিত। দলের প্রয়োজনে একেক সময়ে একেক পজিশনে ব্যাট করা মাহমুদউল্লাহ জানালেন, নতুন ব্যাটিং পজিশনে মানিয়ে নিতে মানসিক প্রস্তুতিই সবচেয়ে বেশি জরুরি।

“অনেকের হয়তো ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আসতে পারে। তো এই জিনিসটা ওরা মানসিকভাবে এরই মধ্যে মানিয়ে নিয়েছে বা চিন্তা করছে। আশা করব, তারা এটার সাথে মানিয়ে নেবে।”

দলে মাহমুদউল্লাহ একমাত্র পুরোদস্তুর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। নতুন পজিশনে ব্যাট করা সতীর্থদের নিয়ে তাকে খেলাটা এগিয়ে নিতে হবে। যতটা সম্ভব গভীরে গিয়ে দলকে এনে দিতে হবে বড় সংগ্রহ।

“অবশ্যই। যেটা আমি বললাম, আমি খেলাটাকে যত সামনে নিয়ে যেতে পারব ততো দলকে রান এনে দিতে পারব। আমার যত অভিজ্ঞতা আছে সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব মিডল অর্ডারে। অনেক ব্যাটসম্যানই আছে যাদের ভিন্ন ব্যাটিং অর্ডারে ব্যাটিং করতে হতে পারে। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতে হতে পারে।”