পাকিস্তান সফরের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড নিয়ে খুশি মাহমুদউল্লাহ। বিপিএলের পারফরমারদের নিয়ে গড়া দল নিয়ে ভালো করতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ অধিনায়ক। অভিজ্ঞ পেস বোলিং আক্রমণের ওপর আস্থা রেখে জানালেন, দলের প্রপার স্পিনার আছে কি-না, সেটি তাকে মোটেও ভাবাচ্ছে না।
Published : 21 Jan 2020, 07:27 PM
উপমহাদেশে খেলার সময় স্পিন নির্ভর আক্রমণ নিয়ে খেললেও পাকিস্তানে পেসারদের ওপর বেশি নির্ভর করবে বাংলাদেশ। স্কোয়াডেই আছে এর আভাস। মূল স্পিনার দুই জন, লেগ স্পিনার আমিনুল ও অফ স্পিনার মেহেদি। নেই কোনো বাঁহাতি স্পিনার।
পেস বোলিং আক্রমণে রুবেল হোসেন, আল আমিন হোসেন, শফিউল ইসলামদের সঙ্গে আছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ। অধিনায়ক জানালেন, অনেক দূরে দৃষ্টি রেখেই পাঁচ পেসারকে রাখা হয়েছে স্কোয়াডে।
“আমার মনে হয়, টি-টোয়েন্টিতে যদি পেস বোলারদের মধ্যে যথাযথ বৈচিত্র্য থাকে তাহলে তা অনেক বেশি সাহায্য করবে। যারা সুযোগ পেয়েছে, যেমন ধরেন রুবেল, সে এই বিপিএলে দারুণ করেছে। আল আমিন, শফিউল, মুস্তাফিজ আছে।”
“আমাদের পেস বোলিং ইউনিটে দারুণ বৈচিত্র্য আছে। আমি এদিক থেকে আশাবাদী যে, ওরা ডেলিভার করতে পারবে। আমাদের প্রপার স্পিনার আছে কি নেই-তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। এবার আমাদের পেস বোলিং ইউনিট অনেক বেশি অভিজ্ঞ এবং আমি তাদের উপর আস্থা রাখব।”
নিষেধাজ্ঞার জন্য আগে থেকেই নেই সাকিব আল হাসান। নিরাপত্তা শঙ্কায় যাচ্ছেন না মুশফিকুর রহিম। মাঠে ফেরার লড়াইয়ে থাকা মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনও নেই। তবুও দল নিয়ে সন্তুষ্ট মাহমুদউল্লাহ। কারণ, সবাই আছেন ছন্দে।
“আমি এই মুহূর্তে খুবই খুশি, যারা স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছে তাদের নিয়ে। সবাই খুব ভালো পারফরম্যান্স করেছে এই বিপিএলে। যারা ব্যাটসম্যান ছিল তারা রান পেয়েছে, বোলাররা যারা ছিল ওরা উইকেট পেয়েছে। সব মিলিয়ে আমি খুব আত্মবিশ্বাসী আমার দল নিয়ে। দেখার বিষয় আমরা ওখানে গিয়ে নিজেদের কত ভালোভাবে প্রয়োগ করতে পারি।”
অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছেন বেশ কয়েকজন, তবে আধিক্য তরুণদেরই। মোহাম্মদ নাঈম শেখ, আমিনুল ইসলাম, আফিফ হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি হাসানরা একাদশে জায়গা পেতে যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা তৈরি করবেন, সেটা আরও বেশি আশাবাদী করছে অধিনায়ককে।
“আমার মনে হয় যে, কয়েকজন ক্রিকেটার আছে যারা বেশ কয়েক বছর ধরে টানা খেলছে। আফিফ, আমিনুল, নাঈমরা নতুন ক্রিকেটার। তবে তারা সবাই নিজ নিজ জায়গায় ভালো করেছে। এটা খুবই ভালো একটা দিক। আমার মনে হয়, এই জিনিসটি দলের মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা তৈরি করবে।”