নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ায় দেখা দিয়েছে এই বিপত্তি। গত অক্টোবরের শেষ দিকে সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ার পর ভারত সফরের আগের দিন জানানো হয়, টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেবেন মাহমুদউল্লাহ। ঘরোয়া ক্রিকেটে নেতৃত্ব, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা ও পারিপার্শ্বিক নানা বাস্তবতায় এই মুহূর্তে তাকেই বলা যায় নেতৃত্বের জন্য সম্ভাব্য সেরা পছন্দ।
বিশেষ করে এই বছরই যেখানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, লম্বা সময়ের জন্য কাউকে অধিনায়ক না করা বিস্ময়করই। জাতীয় কোচ রাসেল ডমিঙ্গো সরাসরিই বলে দিয়েছেন, অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহকেই অধিনায়ক দেখতে চান তিনি। কিন্তু এবারও তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেবল পাকিস্তান সিরিজের জন্য।
মাহমুদউল্লাহ নিজে কি ভাবছেন? লম্বা সময়ের নেতৃত্বই আদর্শ হওয়া উচিত, সেটি তার এড়িয়ে যাওয়ার কারণ নেই। তবে বাংলাদেশের বাস্তবতাও জানেন। তাই হয়তো পাকিস্তান সফর পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার প্রতিক্রিয়ায় থাকলেন সাবধানী।
“আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই সিরিজের জন্য। আমি চেষ্টা করব আমার দায়িত্ব পুরোপুরি কাজে লাগাতে। যেহেতু সিরিজ বাই সিরিজ অধিনায়কত্বের দায়িত্বটি দেওয়া হচ্ছে।”
“পূর্ণ মেয়াদে অধিনায়কত্ব দিলে, আমার কাছে অবশ্যই মনে হয় পরিকল্পনার জন্য সহায়ক হবে। তবে এটা সম্পূর্ণ বোর্ডের সিদ্ধান্ত। আমি এই মুহূর্তে চিন্তা করছি যে আমাকে যেহেতু এই সিরিজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। চেষ্টা করব যেন এই সিরিজে ভালো ফলাফল করতে পারি।
কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তার প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখায় অবশ্য কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি মাহমুদউল্লাহ।
“তার যদি আমার প্রতি আস্থা থাকে তাহলে ধন্যবাদ। রাসেল অনেক অভিজ্ঞ একজন কোচ এবং সে জানে, দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারকে কিভাবে সামলাতে হয়। আমার মনে হয়, সবাই এই জিনিসটি বুঝে এবং তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করছেন।”
আনুষ্ঠানিকভাবে লম্বা সময় দায়িত্ব না পেলেও মাহমুদউল্লাহ জানালেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে দল গোছানো নিয়ে টুকটাক কথা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
“মোটামুটি কম-বেশি আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। পাপন ভাইয়ের (বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান) সঙ্গে কথা হয়েছে। যখন রাসেল বাইরে ছিল এবং আমরা বিপিএল খেলছিলাম, তখনও হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে। এমনকি তার আগে আমরা যখন ভারতে ছিলাম, তখন কথা হয়েছে কিভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল গঠন করব।”