মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর স্ত্রী সম্পর্কে আপন বোন। পারিবারিকভাবে তাই বাংলাদেশের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার বেশ ঘনিষ্ঠ। তবে পাকিস্তান সফরের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে দুই জনের পারিবারিক অভিজ্ঞতা দুই রকম।
বাংলাদেশের হয়ে এক ম্যাচ তো বহুদূর, কোনো অনুশীলন সেশনও বাইরে থাকতে চান না যিনি, সেই মুশফিক শুরুতেই জানিয়ে দিয়েছেন, পরিবারকে শঙ্কায় রেখে তিনি যাবেন না পাকিস্তানে। একই মানসিক অবস্থা ছিল মাহমুদউল্লাহর আপনজনদেরও। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি পেরেছেন পরিবারকে অভয় দিতে।
সেই অনুমতিটুকু আদায় করতে অবশ্য যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে, মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে জানালেন মাহমুদউল্লাহ।
“প্রথমে অবশ্যই কঠিন ছিল। কারণ আমার পরিবারও দুর্ভাবনায় ছিল। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। এরপর ওরা রাজি হয়েছে। এদিক থেকে আমি কিছুটা স্বস্তিতে থাকব, যেহেতু আমার পরিবার এতটা শঙ্কা অনুভব করবে না। পাকিস্তান আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তাই দিচ্ছে।”
তবে মুশফিকের বাস্তবতাও খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারছেন মাহমুদউল্লাহ। জানাচ্ছেন পূর্ণ সমর্থন।
“মুশির সিদ্ধান্ত আমিও সমর্থন করি। পরিবারের একটা ইস্যু থাকেই সবসময়। কোনো ক্রিকেটারের বা যে কোনো মানুষের জন্য পরিবারের চেয়ে বড় কোনো কিছু হতে পারে না। মুশফিকের সিদ্ধান্তের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে।”
বুধবার রাত ৮টায় মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে লাহোরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানে বাংলাদেশের তিন দফা সফরের প্রথমটিতে দুই দল খেলবে তিনটি টি-টোয়েন্টি।