এই বিশ্বাসের জোগান মিলেছে সদ্য সমাপ্ত বিপিএল থেকে। যদিও টুর্নামেন্টের প্রথম চার ম্যাচে দুইবার আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। শেষও করেছেন ফাইনালে শূন্য রানে বিদায় নিয়ে। তবে ফাইনালের আগের কয়েক ম্যাচ থেকেই পেয়েছেন সামনে এগিয়ে চলার রসদ।
প্রথম কোয়ালিফায়ারে ৫৭ বলে ৭৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে ফাইনালে তুলে নেওয়ায় অবদান রাখেন। প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে সবাইকে চমকে দিয়ে খেলেন ৫৭ বলে অপরাজিত ১১৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এবারের আসরে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানের একমাত্র সেঞ্চুরি সেটি।
মূলত এই ইনিংস দুটিই তাকে ফিরিয়েছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে। জায়গা পেয়েছেন পাকিস্তান সফরের স্কোয়াডে। সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শান্ত জানালেন, জাতীয় দলের হয়েও ভালো কিছু করতে চান তিনি।
“বিপিএলের শেষ কয়েকটি ম্যাচ বেশ ভালো গেছে। তাই আত্মবিশ্বাস খুব ভালো আছে। যদি এই আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পারি, তাহলে পাকিস্তানেও ভালো করা সম্ভব।”
২১ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের মতে, সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ভালো করার বিশ্বাসটা অবশেষে পেয়েছেন তিনি।
“আমার কাছে মনে হয় মানসিকভাবে বদলটা এসেছে। এই বিশ্বাসটা এখন আমার জন্মেছে যে এই ফরম্যাটে রান করা সম্ভব। যেহেতু প্রথমে কয়েকটা ম্যাচে রান করিনি, আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল। তাই মানসিকভাবে ওভাবে প্রস্তুত হয়েছি যে, আমি এই সংস্করণেও রান করতে পারি। ওই বিশ্বাসটা নিজের মধ্যে আনার চেষ্টা করেছি। ওটা আসার কারণে আমার মনে হয়, শেষের কয়েকটি ম্যাচে ভালো রান করেছি।”
বিপিএলে ওপেনিংয়ে ব্যাট করে রান পেয়েছেন শান্ত। জাতীয় দলে সেই সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা সামান্যই। একাদশে জায়গা করে নেওয়াই তার জন্য হবে বড় চ্যালেঞ্জ। কোনোভাবে সেই সুযোগ এলেও হয়তো টপ অর্ডারে সুযোগ পাবেন না। তবে শান্ত প্রস্তুত যে কোনো পজিশনে ব্যাট করার জন্য।
“ব্যাটিং পজিশন নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। দলে এসেছি যেহেতু, সব জায়গায় খেলার জন্য প্রস্তুত আছি। যেখানে খেলব, চেষ্টা করব পারফর্ম করার।”
“নরমালি তো টপ অর্ডারে ব্যাটিং করি, সেখানে ব্যাটিং করলে তো অবশ্যই ভালো লাগবে। পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে, যেখানেই ব্যাটিংয়ের সুযোগ আসবে, ওখানেই রান করতে হবে। কারণ বড় ক্রিকেটাররা যে কোনো জায়গায় যে কোনো অবস্থায় ব্যাটিং করে ভালো করার সামর্থ্য রাখে। ওভাবেই আমি চিন্তা করছি। যেখানেই ব্যাটিংয়ের সুযোগ আসবে ওখানেই পারফর্ম করার চেষ্টা করব।”