পাকিস্তান সফরের আগে বাংলাদেশের তিন দিনের ছোট্ট প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়েছে রোববার দুপুরে। দলকে উৎসাহ দিতে প্রথম দিন মাঠে ছিলেন বিসিবি সভাপতি। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, প্রথম দফার সফরে তিনি দলের সঙ্গে থাকবেন পুরো সময়।
“জরুরি প্রয়োজনে আমার কালকে রাতে বাইরে যেতে হচ্ছে। ফিরে আসব ২২ তারিখ। তাই ওদের সঙ্গে যেতে পারছি না। ওরা আবার ভাবতে পারে যে আমি যাবই না। এজন্যই ওদেরকে বললাম যে, ২৩ তারিখে পাকিস্তানে গিয়ে তোমাদের সঙ্গে দেখা করব।”
পাকিস্তানে তিন দফায় বাংলাদেশ দলকে পাঠাতে সম্মত হয়েছে বিসিবি। প্রথম দফার সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আগামী শুক্র, শনি ও সোমবার। বাংলাদেশ দল ঢাকা ছাড়বে বুধবার রাতে, লাহোরে পৌঁছানোর কথা বৃহস্পতিবার সকালে।
বিসিবি সভাপতি জানালেন, পাকিস্তানের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকেও একটি অগ্রবর্তী নিরাপত্তা দল যাবে সেখানে। “আমাদের এডভান্স একটি দল যাচ্ছে নিরাপত্তার। এনএসআই থেকে যাবে, ডিজিএফআই থেকেও লোক যাওয়ার কথা। আমাদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিয়ে যত প্রস্তুতি আছে, সব নেওয়া হবে।”
তবে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনায় নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বেশি যেতেই চাননি নাজমুল হাসান। দলকে তিনি বলেছেন, শুধু মাঠের ক্রিকেট নিয়েই ভাবতে।
“আমি ওদের সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে আলাপ করতেই চাইনি। কথা উঠেছিল তবু হালকা, আমি বলেছি চিন্তার কিছু নেই। খেলা নিয়ে চিন্তা করতে বলেছি। মাথার মধ্যে এসব চিন্তা থাকলে তো ন্যাচারাল পারফরম্যান্স আসবে না। মানসিক শান্তি ছাড়া ক্রিকেট খেলা অনেক কঠিন। টি-টোয়েন্টি এমনিতেই অনেক টেনশনের খেলা। সেকেন্ডে খেলা ঘুরে যায়।”
“ওদেরকে বললাম যে চিন্তার কিছু নেই, ঠাণ্ডা মাথায় খেলবে। ইনশাল্লাহ কিছু হবে না। আমি আসছি, একসঙ্গে থাকব, একসঙ্গে খাব। কোনো অসুবিধা নেই।”
এমনিতে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি বিদেশ সফরেই বিসিবি সভাপতিসহ বোর্ডের বড় কর্তাদের অনেককেই যেতে দেখা যায়। এই সফরকেও অন্যান্য সফরের মতো করে দেখা হবে বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি। প্রধান নির্বাচক, বিসিবির প্রধান নির্বাহী ও আরও কয়েকজন পরিচালক যাবেন পাকিস্তানে।