এবারের বিপিএল বিসিবি আয়োজন করেছিল বিশেষ ব্যবস্থায়। ছিল না কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি, সবগুলো দলের মালিকানা ছিল বিসিবিরই। শঙ্কা ছিল অনেক অব্যবস্থাপনার। শুরুর দিকে সেসব কিছুটা চোখেও পড়ে। তবে ক্রমশ তা কমে এসেছে।
টুর্নামেন্ট শেষে পেছন ফিরে তাকিয়ে প্রায় সবকিছু ইতিবাচকই দেখছেন মুশফিক। শুধু দেশের ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে তার পুরনো দাবি জানিয়ে দিলেন আরেকবার।
“পার্থক্য যদি বলেন (অন্যবারের সঙ্গে), শুধু পারিশ্রমিকে পার্থক্য। এছাড়া তো আর দেখি না। মান তো ভালো। আইপিএলের পর এটি বিশ্বের সেরা লিগগুলোর একটি। এখানে অনেক বড় বড় ক্রিকেটার খেলেন। বিশ্বমানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলে আমাদেরও অনেক উন্নতি হয়েছে। এবার উইকেটগুলো ভালো ছিল। স্থানীয় ক্রিকেটাররা ভালো খেলেছে।”
“সব মিলিয়ে ইতিবাচক দিক অনেক আছে। পরের মৌসুম থেকে যদি আমাদের পারিশ্রমিক বেড়ে যায়, তাহলে আরও ভালো হবে।”
দেশের ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে মুশফিক সোচ্চার বরাবরই। পারফরম্যান্স নিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে তবেই তিনি সেই দাবি তোলেন। এবারের আসরেও তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান স্কোরার। দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে শীর্ষ ক্যাটাগরিতে থেকে এবার তার প্রাপ্তি ৫০ লাখ টাকা। বিদেশের ক্রিকেটারদের শীর্ষ ক্যাটাগরির পারিশ্রমিক ছিল এক লাখ ডলার বা প্রায় ৮৪ লাখ টাকা। দেশের ক্রিকেটারদের অন্যান্য ক্যাটাগরিতে পারিশ্রমিক তুলনামূলক আরও কম। সব মিলিয়েই মুশফিকের চাওয়া, টাকার অঙ্ক বেড়ে যাওয়া।