সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সেন্ট জর্জেস পার্কে বৃষ্টি বিঘ্নিত দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬০ রান। ডিন এলগার খেলছেন ৩২ রানে। ক্রিজে তার সঙ্গী নাইটওয়াচম্যান আনরিক নরকিয়া।
পিটার মালানের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ডম বেস। পরে বিদায় করেন জুবায়ের হামজাকে।
দিনের শুরুতে বৃষ্টির বাধায় খেলা শুরু হয়েছিল দেরিতে। শেষভাগে বৃষ্টি এসে দিনের খেলা থামিয়ে দেয় আগেভাগেই। মাঝের সময়টায় রাজত্ব করে ইংল্যান্ড।
৪ উইকেটে ২২৪ রান নিয়ে শুক্রবারের খেলা শুরু করা ইংল্যান্ড এগিয়ে যায় স্টোকস ও পোপের ব্যাটে। প্রথম সেশন কোনো ক্ষতি ছাড়াই কাটিয়ে দেন দুই ব্যাটসম্যান। জুটির রান একশ, দেড়শ ছাড়িয়ে স্পর্শ করে দুইশ।
আগের দিন মন্থর ব্যাটিং করা ইংল্যান্ড এদিন বাড়ায় রানের গতি। প্রথম সেশনেই নবম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন স্টোকস। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানই ফিরেন আগে। তাকে বিদায় করে প্রথম উইকেটের দেখা পান অভিষিক্ত ড্যান প্যাটারসন। ভাঙে ২০৩ রানের জুটি।
ম্যারাথন বোলিংয়ে পরের চারটি উইকেট নেন কেশভ মহারাজ। টাইমিং করতে সংগ্রাম করা জস বাটলার দেন ফিরতি ক্যাচ। গিয়েই বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া স্যাম কারান পোপের সঙ্গে গড়েন ৫৯ রানের জুটি।
এলগারকে ক্যাচ দিয়ে থামেন কারান। ডম বেস ধরা পড়েন পিটার মালানের হাতে। ১৯০ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন পোপ। টি-টোয়েন্টি ঘরানার ব্যাটিংয়ে তার সঙ্গে ৩৯ বলে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েন মার্ক উড।
২ চার ও ৫ ছক্কায় ২৩ বলে ৪২ রান করা উডকে ফিরিয়ে ৭৩ রানের জুটি ভাঙেন মহারাজ। এর পরপরই ৯ উইকেটে ৪৯৯ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক জো রুট।
১৮০ রানে ৫ উইকেট নেন মহারাজ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্টে এর চেয়ে বেশি রান দিয়ে পাঁচ উইকেট পাননি আর কেউ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: (আগের দিন শেষে ২২৪/৪) ১৫২ ওভারে ৪৯৯/৯ ইনিংস ঘোষণা (স্টোকস ১২০, পোপ ১৩৫*, বাটলার ৪৪, বেস ১, উড ৪২; ফিল্যান্ডার ১৬-৫-৪১-০, প্যাটারসন ২৪-৩-৬২-১, রাবাদা ২৮-৬-৯৭-২, নরকিয়া ২৫-৪-৯৭-১, মহারাজ ৫৮-১৫-১৮০-৫, এলগার ১-০-৬-০)
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১৮ ওভারে ৬০/২ (এলগার ৩২*, মালান ১৮, হামজা ১০, নরকিয়া ০*; ব্রড ৪-১-১৮-০, কারান ৫-০-২৫-০, বেস ৭-১-১২-২, উড ৩-২-৫-০)