ওয়ালশ-লুইস যুগলবন্দীতে উইন্ডিজের জয়

সিরিজের প্রথম ম্যাচে দলকে জিতিয়েও ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশায় পুড়তে হয়েছিল এভিন লুইসকে। শেষ ম্যাচে সেই অম্ল-মধুর স্বাদ পেতে হলো না। এবার দলকে জেতানো ইনিংস পেল সেঞ্চুরির পূর্ণতা। লেগ স্পিনার হেইডেন ওয়ালশের দারুণ বোলিং যে মঞ্চ গড়ে দিয়েছিল, সেখানে দাঁড়িয়ে লুইসের সেঞ্চুরিতে ক্যারিবিয়ানরা পেল হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Jan 2020, 06:23 AM
Updated : 13 Jan 2020, 08:29 AM

তৃতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩ ম্যাচের সিরিজ তারা জিতে নিয়েছে ৩-০ তে।

গ্রানাডায় রোববার আইরিশরা গুটিয়ে যায় ২০৩ রানে। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ওয়ালশ নেন ৩৬ রানে ৪ উইকেট। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে ১৯৭। জিতে গেছে তারা ৬৪ বল বাকি রেখেই।

ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় লুইস করেছেন ৯৭ বলে ১০২।

ম্যাচের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ ছিল টস জয়ও। শুরুর দিকে উইকেট ছিল স্যাঁতস্যাঁতে। টস জিতে বোলিংয়ে সেটি কাজে লাগিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা।

শুরুতেই আইরিশদের কাঁপিয়ে দেন ওশেন টমাস। এই ফাস্ট বোলারের গতি সামলাতে না পেরে আউট হন দুই ওপেনার পল স্টার্লিং ও জেমস ম্যাককলাম।

তিনে নেমে অধিনায়ক বালবার্নি লড়াই চালিয়ে গেছেন দারুণ বোলিংয়ের ব্পিক্ষে। তবে পাননি যোগ্য একজন সঙ্গীও। রোস্টন চেইস ও ওয়ালশের স্পিনে ভুগেছে আইরিশ মিডল অর্ডার।

অফ স্পিনার চেইস ফিরিয়ে দেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ও কেভিন ও’ ব্রায়েনকে। প্রথম স্পেলে ৫ ওভারে ২৫ রানে ১ উইকেট নিয়েছিলেন ওয়ালশ। প্রান্ত বদলের পর এই লেগ স্পিনার হয়ে ওঠেন দুর্বোধ্য। পরের ৫ ওভারে কেবল ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট!

যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ওয়ানডে অভিষেকের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে চলে আসা এই লেগ স্পিনার অষ্টম ওয়ানডেতে স্বাদ পেলেন প্রথম ৪ উইকেটের।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট

বালবার্নির লড়াই ৭১ রানে থামিয়েছেন ওয়ালশ। শেষ দিকে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ২২ বলে ২৫ করে আইরিশদের নিয়ে যান দুইশর ওপারে।

রান তাড়ায় ক্যারিবিয়ানরা ওপেনার শেই হোপকে হারায় দ্রুতই। তিনে নামা সুনিল আমব্রিসও টিকতে পারেননি। তবে ততক্ষণে সহজ হয়ে এসেছে উইকেট। স্ট্রোকের ফোয়ারায় চাপ ভাসিয়ে দেন লুইস। আইরিশরা পারেনি লড়াই জমিয়ে তুলতে।

তৃতীয় উইকেটে ব্র্যান্ড কিংয়ের সঙ্গে ৭৫ রানের জুটি গড়েন লুইস, চতুর্থ উইকেটে নিকোলাস পুরানের সঙ্গে জুটি ৬৩ রানের।

৯৬ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন লুইস। দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরির প্রায় আড়াই বছর পর দেখা পেলেন আরেকটি সেঞ্চুরির।

বাঁহাতি এই ওপেনার আউট হয়ে যান অবশ্য সেঞ্চুরির পরের বলেই। কিং ফেরেন ৩৮ রানে। ৪৪ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে ফেরেন পুরান।

ম্যাচ ও সিরিজের সেরা লুইস। দুই দল এখন খেলবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ, প্রথমটি বুধবার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আয়ারল্যান্ড: ৪৯.১ ওভারে ২০৩ (ম্যাককলাম ২০, স্টার্লিং ৫, বালবার্নি ৭১, পোর্টারফিল্ড ১০, ও’ব্রায়েন ২১, টাকার ১৬, সিমি ১০, অ্যাডায়ার ৩, ম্যাকব্রাইন ২৫*, ম্যাককার্থি ৮, ইয়াং ৯, শেফার্ড ১০-২-৩৪-১, টমাস ৯.১-০-৪১-৩, জোসেফ ১০-০-৩৭-০, চেইস ১০-০-৫৩-২, ওয়ালশ ১০-০-৩৬-৪)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: (লক্ষ্য ৪৭ ওভারে ১৯৭) ৩৬.২ ওভারে ১৯৯/৫ (হোপ ৬, লুইস ১০২, আমব্রিস ৬, কিং ৩৮, পুরান ৪৩*, শেফার্ড ১, চেইস ২*; ম্যাকব্রাইন ১০-০-৫০-২, ম্যাককার্থি ৫.২-০-৪৯-১, ইয়াং ৯-০-৫৭-১ সিমি ১০-০-২৯-১, অ্যাডায়ার ২-০-১৪-০)।

ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৫ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩-০তে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ ও সিরিজ: এভিন লুইস