মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবারের দ্বিতীয় ম্যাচে ৯২ রানে জেতে খুলনা। ২১৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৯ উইকেটে ১২৬ রান করে কুমিল্লা।
আগের সেরা ৯৬ ছাড়িয়ে ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। এই কিপার-ব্যাটসম্যানের ৫৭ বলের অসাধারণ ইনিংসে ১২টি চারের পাশে ছক্কা তিনটি। তার সঙ্গে ১৬৮ রানের জুটি উপহার দেওয়া মিরাজ ৪৫ বলে তিন ছক্কা ও পাঁচ চারে করেন ৭৪ রান। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া এই তরুণকে দুইজন তুলে নিয়ে যান মাঠের বাইরে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। ইনিংসের চতুর্থ বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত।
গিয়েই বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন রাইলি রুশো। বেশিদূর যেতে পারেননি বাঁহাতি এই টপ অর্ডার। তিন ছক্কায় ১১ বলে ২৪ রান করে ফিরেন মুজিব উর রহমানের বলে, চমৎকার ক্যাচ নেন সাব্বির রহমান।
শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ছিলেন মিরাজ। একটু সময় নেন মুশফিক। প্রথম ১৩ বলে করেন ৪। এরপর শট খেলতে শুরু করেন তিনিও। বাড়তে থাকে রানের গতি।
৪১ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে তৃতীয় উইকেট জুটির রান। তিন অঙ্কে যায় কেবল ৬৫ বলে। পরের পঞ্চাশ আসে আরও দ্রুত, মাত্র ২০ বলে।
৩৩ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করা মিরাজ এগিয়ে যাচ্ছিলেন একই ছন্দে। পুষিয়ে দিতে থাকা মুশফিক ফিফটির দেখা পান ৩৮ বলে। সপ্তদশ ওভার পর্যন্ত মিরাজের চেয়ে রানে পিছিয়ে ছিলেন তিনি।
অষ্টাদশ ওভারে আবু হায়দার রনির বলে তিন ছক্কা ও এক চারে তুলে নেন ২৬ রান। ৭২ রানে থাকা মিরাজকে ছাড়িয়ে পৌঁছে যান ৯০ রানে। পরের ওভারে রান নেওয়ার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান মিরাজ।
৯২ রান নিয়ে ২০তম ওভার শুরু করেন মুশফিক। সৌম্যর ওভারে একটি চার মেরে স্পর্শ করেন নিজের আগের সেরা ৯৬। তবে এরপর আর দুটি সিঙ্গেলের বেশি নিতে পারেননি। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৩। ফুলটস বলে সজোরেই মেরেছিলেন তিনি; কিন্তু হাত বাড়িয়ে বোলার সৌম্য কমিয়ে দেন গতি। বাড়ে সেঞ্চুরির জন্য মুশফিকের অপেক্ষা।
রান তাড়ায় শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারায় কুমিল্লা। গড়ে তুলতে পারেননি তেমন কোনো জুটি। দায়িত্ব নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি কেউ।
আগের ম্যাচে ঝড় তোলা সাব্বির রহমান পান গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ। দুই চার হাঁকিয়ে বিদায় নেন দাভিদ মালান। টাইমিং পেতে সংগ্রাম করেন সৌম্য। ১৭ বলে ফিরেন ১০ রান করে, পাননি কোনো বাউন্ডারির দেখা।
রানের গতিতে দম দেওয়ার চেষ্টা ছিল উপুল থারাঙ্গার। ৬ চারে লঙ্কান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফিরে যান ৩২ রান করে। ফারদিন হাসানের ২২ আর ইয়ার আলীর ২০ রান পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে কেবল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা টাইগার্স: ২০ ওভারে ২১৮/২ (শান্ত ৩, মিরাজ আহত অবসর ৭৪, রুশো ২৪, মুশফিক ৯৮*, নাজিবউল্লাহ ৭; ইফরান ৩-০-৩৮-১, আবু হায়দার ৪-০-৫৭-০, মুজিব ৪-০-১৮-১, সৌম্য ৪-০-৩০-০, সুমন ৩-০-৪০-০, ফন সিল ২-০-৩১-০)
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ২০ ওভারে ১২৬/৯ (ফন সিল ১০, সাব্বির ০, থারাঙ্গা ৩২, মালান ৮, সৌম্য ১০, ইয়াসির ২০, ফারদিন ২২, আবু হায়দার ৩, মুজিব ২, সুমন, ইফরান; আমির ৪-০-২৪-২, ফ্রাইলিঙ্ক ৪-০-২৫-১, শহিদুল ৪-০-২৭-৩, শামসুর ২-০-১৭-১, আমিনুল ৪-০-১৯-২, শফিউল ২-০-১১-০)
ফল: খুলনা টাইগার্স ৯২ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মুশফিকুর রহিম