ইবাদতের প্রথম ইয়র্কারটি ছিল নতুন বলে। ম্যাচের সেটি ছিল দ্বিতীয় ওভার। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ওই ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে রংপুর রেঞ্জার্স অধিনায়ক ওয়াটসনের চেহারায় ছিল হতভম্ব ভাব। নতুন বলে নিখুঁত ইয়র্কার যথেষ্টই বিরল। ওয়াটসন আউট হয়েছিলেন ১ রানে।
পরের ইয়র্কারটি ছিল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। এবার পুরনো বলে। ওয়াটসন সেদিন উইকেটে থিতু হয়ে গিয়েছিলেন, খেলেছিলেন বিধ্বংসী ইনিংস। কিন্তু ইবাদতের ইয়র্কারের জবাব পাননি। আউট হয়েছিলেন ৩৬ বলে ৬৮ করে।
ওয়াটসনের মতো তারকা দুইবার বোল্ড হয়েছেন বাংলাদেশের উঠতি এক পেসারের বলে, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যও এটি দারুণ ব্যাপার। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপচারিতায় ওয়াটসন বললেন, ইবাদতকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ।
“ওর দুটি ডেলিভারিই ভালো ছিল। দ্বিতীয় যে ইয়র্কারে বোল্ড হয়েছি, সোজা ডেলিভারি মিস করেছি। প্রথমটি অনেক পরে সুইং করেছিল। ইবাদতকে প্রথমবার দেখছি, মনে হয়েছে দারুণ স্কিলফুল ফাস্ট বোলার। গতি ভালো, দুই দিকে সুইং করাতে পারে, ছন্দে থাকলে খুব ভালো ইয়র্কার করতে পারে। দারুণ সম্ভাবনাময় বোলার।”
শুধু ওয়াটসনের বিপক্ষে নয়, এবারের বিপিএলে সব মিলিয়েই দারুণ বোলিং করেছেন ইবাদত। বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে সবচেয়ে গতিময় ছিলেন হয়তো তিনিই। নজর কেড়েছেন বাউন্স, সুইং ও বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং দিয়েও। তার দল ১২ ম্যাচে কেবল একটি জিতলেও ইবাদত নিয়েছেন ১৪ উইকেট।