উইন্ডিজের জয়ে লুইসের ১ রানের আক্ষেপ

এভিন লুইসের চাওয়া তখন কেবলই ছক্কা। উড়িয়ে মারলেন তিনি ব্যারি ম্যাককার্থির বল। ডানা মেলে দিয়ে বল উড়ে চলল সীমানার দিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুখ থুবড়ে পড়ল সীমানার একটু ভেতরে। অল্পের জন্য হলো না ছক্কা, একটুর জন্য পারলেন না লুইস। নাহ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারেনি। বরং ওই শটেই নিশ্চিত হয়েছে জয়। কিন্তু বাউন্ডারিতে বরং বেড়েছে লুইসের আক্ষেপ। ১ রানের জন্য যে পেলেন না সেঞ্চুরি!

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Jan 2020, 04:46 AM
Updated : 8 Jan 2020, 04:46 AM

রান তাড়ায় লুইস অপরাজিত থেকে গেলেন ৯৯ রানে। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আয়ার‍ল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২০০৭ বিশ্বকাপ ও পরে দুই দফায় একটি করে ওয়ানডে খেললেও এই প্রথম সিরিজ খেলছে আয়ারল্যান্ড। বারবাডোজে মঙ্গলবার আলজারি জোসেফের দারুণ বোলিংয়ে আইরিশরা অলআউট হয় ১৮০ রানে। রান তাড়ায় ৫ উইকেট হারালেও ক্যারিবিয়ানরা জিতে যায় ১০০ বল বাকি রেখে।

১৩ চার ও ২ ছক্কায় ৯৯ বলে ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন লুইস।

রান তাড়ায় ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে যাওয়া নবম ব্যাটসম্যান লুইস। সবশেষ ২০১৮ সালে এই স্বাদ পেয়েছিলেন লুইসের সতীর্থ জেসন হোল্ডার।

আইরিশদের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি নেতৃত্বে অভিষেকে টস জিতে বেছে নেন ব্যাটিং। পল স্টার্লিং ও অভিষিক্ত গ্যারেথ ডেলানি প্রথম ৬ ওভারে তোলেন ৩০ রান।

জোসেফ আক্রমণে এসে ভাঙন ধরান আইরিশ টপ অর্ডারে। তৃতীয় বলেই ফেরান ১৫ বল করা স্টার্লিংকে। পরে ১৯ রানে ডেলানিকেও থামান এই ফাস্ট বোলার।

অধিনায়ক বালবার্নি শুরু করেছিলেন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে। কিন্তু ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ রান করা ব্যাটসম্যানকে থামিয়ে দেন রোস্টন চেইস।

সদ্য সাবেক অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ও অভিজ্ঞ কেভিন ও’ ব্রায়েন পারেননি সুবিধা করতে। ছয়ে নেমে কিপার লর্ক্যান টাকার করেন ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩১ রান। তাকে ফিরিয়েই জোসেফ ধরেন চতুর্থ শিকার। আটে নেমে ২৯ করে আইরিশদের রান কিছুটা বাড়ান মার্ক অ্যাডায়ার।

৩২ রানে ৪ উইকেট নেন জোসেফ, ৩০ রানে ২টি লেগ স্পিনার হেইডেন ওয়ালশ। উইকেটের পেছনে শেই হোপ নেন ৫টি ক্যাচ।

কিপিং সাফল্যের দিনে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হোপ। ক্যারিবিয়ানদের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেছেন ১৩ রানেই। তবে লুইস ছিলেন বলে ভুগতে হয়নি দলকে। দ্বিতীয় উইকেটে ব্র্যান্ডন কিংয়ের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়েন লুইস।

কিং ফিরেছেন ২০ রানে। মিডল অর্ডারে শিমরন হেটমায়ার, নিকোলাস পুরান ও রোস্টন চেইসের কেউ টিকতে পারেননি লম্বা সময়। তবে লক্ষ্য ছিল না বড়, লুইসের ব্যাটিংই তাই যথেষ্ট হয়েছে ক্যারিবিয়ানদের জন্য।

দলের জয়ের জন্য যখন ৩ রান, লুইস তখন খেলছেন ৯৩ রানে। মিডিয়াম পেসার ম্যাককার্থির বলে নেন তিনি দুটি রান। সেঞ্চুরি করতে তখন ছক্কার বিকল্প ছিল না। লুইস চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু হতে হতেও হলো না। বাউন্ডারিতে পেয়েছেন ৪ রান। অপরাজিত ৯৯। দলের জয়ের মধুর স্বাদের পাশাপাশি লুইস পেয়েছেন ব্যক্তিগত আক্ষেপের অম্ল স্বাদ।

দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচের সেরা যদিও তরুণ ফাস্ট বোলার জোসেফ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আয়ারল্যান্ড: ৪৬.১ ওভারে ১৮০ (স্টার্লিং ১৫, ডেলানি ১৯, বালবার্নি ১৬, পোর্টারফিল্ড ১৫, ও’ব্রায়েন ৪, পাকার ৩১, সিমি ৫, অ্যাডায়ার ২৯, ম্যাকব্রাইন ৪, ম্যাককার্থি ১৩, র‍্যানকিন ১০*, কটরেল ৯-১-৩৯-২, পল ৭.১-০-৩৪-১, জোসেফ ১০-১-৩২-৪, চেইস ১০-০-৩৫-১, ওয়ালশ ১০-০-৩০-২)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৩.২ ওভারে ১৮৪/৫ (হোপ ১৩, লুইস ৯৯*, কি১ ২০, হেটমায়ার ৮, পুরান ১৭, চেইস ১৯, পোলার্ড ০*; ম্যাকব্রাইন ৭-০-৪০-১, ম্যাককার্থি ৭.২-১-৪৬-১, অ্যাডায়ার ২-০-২৪-০, সিমি ১০-০-৪৪-২, র‍্যানকিন ৭-১-২৬-১)।

ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১-০তে এগিয়ে

ম্যান অব দা ম্যাচ: আলজারি জোসেফ