টি-টোয়েন্টি সাব্বিরের প্রিয় সংস্করণ। এই সংস্করণে খেলতে সবচেয়ে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। তার প্রতি প্রত্যাশাও বেশি থাকে টি-টোয়েন্টিতে। এবার তার দায়িত্ব আরও বেশি ছিল। কারণ কুমিল্লা তার ও সৌম্য সরকারের ওপরই ভরসা করেছিল বেশি। কিন্তু সাব্বির ভীষণ হতাশ করেছেন।
৯ ম্যাচ খেলে নেই ফিফটি, রান করেছেন ১৪২। গড় ১৫.৭৭। তার শক্তির জায়গা যেটি, সেখানেও ব্যর্থতা স্পষ্ট। স্ট্রাইক রেট কেবল ১০০!
এ প্রসঙ্গে আগের দিন কোচ গিবসন জানান, সাব্বিরের ভাবনার গভীরতায় হয়তো ঘাটতি থাকে পারে। এর পরদিন সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে ম্যাচে একাদশে জায়গা হারালেন তিনি। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে জেতার পর সংবাদ সম্মেলনে মালান জানান, সাব্বিরের ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছে কুমিল্লা।
“সকালে আমি কোচ ও নান্নুর (মিনহাজুল) সঙ্গে কথা বলেছি। তারা মনে করেন, সে যথেষ্ট ভালো খেলছে না। তাই তারা তাকে বাদ দিয়েছেন। সাব্বিরের মতো এতো ভালো একজন খেলোয়াড়কে বাদ দেওয়াটা খুব কঠিন।”
“আমি এই টুর্নামেন্টে তার সঙ্গে ও বিপক্ষে খেলেছি। আমার মনে হয়, নিজের দিনে সে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। যদি তাকে কোনোভাবে ফিরে পাই দলে এবং সে খেলে তাহলে সেটা হবে দারুণ একটা ব্যাপার।”
বিদেশি ক্রিকেটারদের মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার থাকে। হুট করে এসেই ভালো খেলা কঠিন। তাই তাদের বাদ পড়াটা স্বাভাবিক। তবে সাব্বিরের মানের স্থানীয় কারোর বাদ পড়াটা অতো সহজ-সরল নয়। মালানের আশা, এই বাদ পড়া থেকে শিখে আরও ভালো ক্রিকেটার হয়ে উঠবেন সাব্বির।
“এই ধরনের টুর্নামেন্টগুলো হয় আপনার দিকে যাবে, নয়তো না। এটি খুবই কঠিন। আমরা বাইরে থেকে যারা আসি, চার ম্যাচ খেলার পর তিন ম্যাচ একাদশের বাইরে থাকি, এরপর দুই বা তিন ম্যাচ খেলি। আমরা এতে অভ্যস্ত। তবে স্থানীয় খেলোয়াড়দের (বাদ পড়াটা)বেশ কঠিন।”
“আশা করি, সে এখান থেকে আরও ভালো খেলোয়াড় হয়ে উঠবে এবং নিজের ভুল থেকে শিখবে। এমন না যে খারাপ খেলেছে। স্রেফ নিজের স্কোর বড় করতে সংগ্রাম করেছে। এটা হয়। গতবার এখানে এসে আমি রান পাইনি। ক্রিকেটে এটা হয়েই থাকে।”