আইসিসি ভবিষ্যৎ সূচির বর্তমান চক্র শেষ হবে ২০২৩ সালে। পরের চক্র ২০২৩ থেকে ২০৩১। সেসময় থেকে চার দিনের টেস্টের ব্যাপারটি চলতি বছর আনুষ্ঠানিকভাবে বিবেচনা করতে পারে আইসিসি।
এই পরিকল্পনার পক্ষে ইংল্যান্ড নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ভেবে দেখবে বলে জানিয়েছে।
২০১৭ সালে প্রথম দেশ হিসেবে চার দিনের টেস্ট আয়োজন করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। তারপরও তারা আইসিসির এই পরিকল্পনার বিপক্ষে মত দিবে বলে সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল ব্রিটেনের ‘ডেইলি মেইল’ পত্রিকা।
তবে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংবাদ মাধ্যমের ওই খবরকে ‘ভুয়া ও অসত্য’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে জানিয়েছে যে তারা চার দিনের টেস্টকে সমর্থন দেবে।
“দুই বছর আগে আমরাই প্রথম চার দিনের টেস্ট আয়োজন করেছিলাম, আমাদের বিপক্ষে প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে।”
পোর্ট এলিজাবেথের সেই দিবা-রাত্রির ম্যাচটি দুই দিনে শেষ হয়ে গিয়েছিল। ইনিংস ব্যবধানে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ক্রিকেট দুনিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এখনও আইসিসির চার দিনের টেস্টের পরিকল্পনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এমন প্রস্তাবে নিজের সায় নেই বলে সম্প্রতি পরিষ্কার করে জানান ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এই সংস্করণের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
“চার দিনের টেস্ট? দেখুন, আমি এর সমর্থক নই। আমার মনে হয়, অভিপ্রায়টা ঠিক হবে না। এরপর তিন দিনের টেস্টের কথা বলা হবে। শেষটা কোথায়? এরপর টেস্ট ক্রিকেট বিলীন হয়ে যাওয়ার কথা বলা হবে। আমি কোনোভাবেই এতে সায় দিচ্ছি না।”