বিপিএলে এবার কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের কোচ হয়ে এসেছেন গিবসন। তিনি যখন এলেন, তখনও বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ ছিলেন শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট। কিন্তু বিপিএল চলার সময়ই জানা গেল, দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং কোচ হওয়ার প্রস্তাব পেয়ে বাংলাদেশ ছাড়ছেন তিনি। এরপর বিপিএল এগিয়ে গেছে, আলোচনায় উঠে এসেছে গিবসনের নাম।
বিসিবি একাডেমি মাঠে সোমবার কুমিল্লার অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গিবসন নিশ্চিত করলেন বাংলাদেশের বোলিং কোচের প্রস্তাব পাওয়ার কথা। জানালেন নিজের আগ্রহের কথাও।
“আলোচনা চলছে, অবশ্যই চলছে। এটা আমি অস্বীকার করব না। তবে চূড়ান্ত কিছু হওয়া এখনও অনেক অনেক দূর। তবে আলোচনা চলছে।”
“দেখি কী হয়…অবশ্যই আমি ক্রিকেট ভালোবাসি ও বোলারদের কোচিং করাতে পছন্দ করি। যদি এখানে এসে কাজ করা ও তরুণ ফাস্ট বোলারদের শেখানোর সুযোগ হয়, আমি অবশ্যই সুযোগটি নিতে চাইব।”
সবশেষ গিবসন ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের প্রধান কোচ। সেখানে দুই বছরের দায়িত্ব শেষে আর নবায়ন না করার কথা জানানো হয় গত অগাস্টে। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচও ছিলেন, তার কোচিংয়ে ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ক্যারিবিয়ানরা। দুই দফায় বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কোচিংয়ের স্বাদ প্রথম পেয়েছেন কুমিল্লার দায়িত্ব দিয়েই।
গিবসনের ধারণা, সত্যিই বাংলাদেশের বোলিং কোচের দায়িত্ব পেলে তার কাজে সহায়তা করবে এবার বিপিএলে কাজ করার অভিজ্ঞতা।
“কিছু ক্রিকেটারকে আমি এর মধ্যেই চিনতে পেরেছি। আল আমিন আছে আমাদের দলে, সে জাতীয় দলের পেসার। একটা সম্পর্ক তাই গড়ে উঠেছে। আমি নিজেও ক্রিকেটার ছিলাম, তাই ক্রিকেটারদের সঙ্গে সম্পর্ক কিভাবে গড়ে তুলতে হয়, জানা আছে আমার। এখানে এসে তাই তরুণ পেসারদের, এমনকি অভিজ্ঞদেরও কিছু শেখাতে আমার সমস্যা নেই।”