ওয়ার্নারের সেঞ্চুরির পর নিউ জিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিলেন লায়ন

তাসমান পারের দুই দেশের লড়াই জমল না মোটেও। ব্যাটে-বলে নিজেদের মেলে ধরে প্রতিবেশী নিউ জিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরির পর পাঁচ উইকেট নিয়ে চার দিনেই সিডনি টেস্টে স্বাগতিকদের জয় এনে দিলেন ন্যাথান লায়ন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Jan 2020, 07:59 AM
Updated : 6 Jan 2020, 10:59 AM

তিন ম্যাচের সিরিজে কিউইদের হোয়াইটওয়াশড করল টিম পেইনের দল। তৃতীয় ও শেষ টেস্টে ২৭৯ রানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। লায়নের ৫ ও মিচেল স্টার্কের ৩ উইকেটে ৪১৬ রান তাড়ায় ১৩৬ রানে গুটিয়ে গেছে নিউ জিল্যান্ড।

ম্যাচে ১০ উইকেট পেলেন অফ স্পিনার লায়ন। প্রথম ইনিংসে ৬৮ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট, এবার পেলেন ৫০ রানে। ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার ম্যাচে পেলেন ১০ উইকেট, ইনিংসে পাঁচ উইকেট হলো ১৮বার।

দুই ওপেনার টম ব্লান্ডেল ও টম ল্যাথামকে শুরুতেই ফিরিয়ে দিয়ে সফরকারীদের নাড়িয়ে দেন স্টার্ক। জিত রাভালকে দিয়ে শিকার শুরু করেন লায়ন। প্রথম ইনিংসে ফিফটি পাওয়া অভিষিক্ত গ্লেন ফিলিপসকে খুলতে দেননি রানের খাতা।

স্টিভেন ফ্লেমিংকে (৭১৭২) ছাড়িয়ে টেস্টে নিউ জিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হতে রস টেইলরের প্রয়োজন ছিল ২১ রান। এর চেয়ে এক রান বেশি করার পরই তাকে বোল্ড করে দেন প্যাট কামিন্স।

৩৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা নিউ জিল্যান্ড খানিকটা লড়াই করে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও বিজে ওয়াটলিংয়ের ব্যাটে। ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে ৬৮ বলে ৫২ রান করা ডি গ্র্যান্ডহোমকে ফিরিয়ে ৬৯ রানের জুটি ভাঙেন লায়ন।

এরপর বেশিদূর এগোয়নি নিউ জিল্যান্ডের ইনিংস। মাটি কামড়ে পড়ে থাকা ওয়াটলিংয়ের প্রতিরোধ ভেঙে নিউ জিল্যান্ডকে গুটিয়ে দেন লায়ন।

এর আগে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউেন্ড বিনা উইকেটে ৪০ রান নিয়ে দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে যায় ওয়ার্নার ও জো বার্নসের ব্যাটে। এলবিডব্লিউর সফল রিভিউ নিয়ে বার্নসকে ফিরিয়ে ১০৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন টম অ্যাস্টল।

দ্বিতীয় উইকেটে আরেকটি শতরানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার ও মার্নাস লাবুশেন। আগের পাঁচ ইনিংসে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে না পারা ওয়ার্নার এবার পান তিন অঙ্কের দেখা। ২৪তম সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া বাঁহাতি এই ওপেনার ৯ চারে ১৫৯ বলে করেন ১১১ রান।

প্রথম ইনিংসের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান লাবুশেনের সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করছিলেন পেইন। দারুণ ছন্দে থাকা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান অবশ্য তিন অঙ্কের দেখা পাননি। দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় সীমানায় ক্যাচ দিয়ে থামেন ৫৯ রানে।

তার আউটের সঙ্গে সঙ্গে ২ উইকেটে ২১৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। পরে লায়ন-স্টার্কদের দারুণ বোলিংয়ে জয় তুলে নেয় চার দিনেই। অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মে কোনো ম্যাচই গেল না পাঁচ দিনে।

দারুণ ছন্দে থাকা লাবুশেন পান ম্যাচ ও সিরিজ সেরার পুরস্কার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৪৫৪

নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৫৬

অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: (আগের দিন ৪০/০) ৫২ ওভারে ২১৭/২ ইনিংস ঘোষণা (ওয়ার্নার ১১১*, বার্নস ৪০, লাবুশেন ৫৯; হেনরি ১২-২-৫৪-১, ডি গ্র্যান্ডহোম ১৩-১-৪৩-০, ওয়েগনার ৯-১-৩৭-০, সমারভিল ১০-০-৩৬-০, অ্যাস্টল ৮-১-৪১-১)

নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৪৭.৫ ওভারে ১৩৬ (ল্যাথাম ১, ব্লান্ডেল ২, রাভাল ১২, টেইলর ২২, ফিলিপস ০, ওয়াটলিং ১৯, ডি গ্র্যান্ডহোম ৫২, অ্যাস্টল ১৭, সমারভিল ৭, ওয়েগনার ০*, হেনরি আহত অনুপস্থিত; স্টার্ক ৯-৩-২৫-৩, কামিন্স ১১-৩-২৯-১, প্যাটিনসন ৬-৩-৮-০, লায়ন ১৬.৫-৪-৫০-৫, লাবুশেন ৫-০-২০-০)

ফল: অস্ট্রেলিয়া ২৭৯ রানে জয়ী

সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ৩-০ ব্যবধানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: মার্নাস লাবুশেন

ম্যান অব দা সিরিজ: মার্নাস লাবুশেন