সিরিজের শেষ টেস্টে সিডনিতে রোববার দিন শেষে ২৪৩ রানে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। লায়নের ৫ ও কামিন্সের ৩ উইকেট প্রথম ইনিংসে দলকে এনে দেয় ২০৩ রানের লিড। পরে তৃতীয় দিন শেষ করেছে তারা দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪০ রান নিয়ে।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিনা উইকেটে ৬৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা নিউ জিল্যান্ড শুরুতেই হারায় টম ব্লান্ডেলকে। লায়নের বলে বোল্ড হওয়া ওপেনার কোনো রান যোগ করতে পারেননি আগের দিনের ৩৪ রানের সঙ্গে।
দ্বিতীয় জুটিতে টম ল্যাথাম ও জিত রাভালের ব্যাটে এগিয়ে যায় নিউ জিল্যান্ড। তবে ৪৯ রানের জুটির পর দুজনকে পরপর দুই ওভারে ফেরায় অস্ট্রেলিয়া। ৩১ রানে রাভালকে এলবডিব্লিউর ফাঁদে ফেলেন লায়ন। ফিফটির ১ রান আগে ল্যাথামের প্রতিরোধ ভাঙেন কামিন্স।
দলের বিপদে ত্রাতা হতে পারেননি রস টেইলর। আগ্রাসী শুরুর পর অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ফিরে যান ২০ বলে ২২ করে। দলের আরেক নির্ভরতা বিজে ওয়াটলিংও ব্যর্থ এদিন।
পরিস্থিতি তাদের হতে পারতো আরও খারাপ। গ্লেন ফিলিপস ফিরতে পারতেন দ্রুতই। তিনবার বেঁচে যাওয়ার পর অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান করেন ফিফটি।
তবে এরপর আর বেশি এগাতে পারেননি। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করা ফিলিপসকে থামান কামিন্স। এর আগেই রান আউটে ফেরেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম।
লোয়ার অর্ডার থেকে আসেনি বেশি রান। নিউ জিল্যান্ড শেষ ৪ উইকেট হারায় ১৬ রানে। এর তিনটিই নেন লায়ন।
৬৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে এই অফ স্পিনারই অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার। টেস্টে সপ্তদশবার পেলেন তিনি ৫ উইকেট। তবে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ টেস্টে এটিই প্রথম। তাতে একটি চক্র পূরণও হলো তার। যে ৮ দলের বিপক্ষে খেলেছেন, ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন সবার বিপক্ষেই।
শেষ বিকেলে ঘণ্টাখানেক ব্যাট করে ডেভিড ওয়ার্নার ও জো বার্নস নিশ্চিত করে দেন, নিউ জিল্যান্ডের দিনটি শেষ হচ্ছে হতাশায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৪৫৪
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৬৩/০) ৯৫.৪ ওভারে ২৫১ (ল্যাথাম ৪৯, ব্লান্ডেল ৩৪, রাভাল ৩১, টেইলর ২২, ফিলিপস ৫২, ওয়াটলিং ৯, ডি গ্র্যান্ডহোম ২০, অ্যাস্টল ২৫*, সমারভিল ০, ওয়েগনার ০, হেনরি ৩*; স্টার্ক ২১-১-৫৭-১, কামিন্স ২২-৬-৪৪-৩, প্যাটিনসন ১৬-৩-৫৮-০, লায়ন ৩০.৪-১০-৬৮-৫, লাবুশেন ৪-০-৮-০, হেড ২-০-১১-০)
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ১৬ ওভারে ৪০/০ (ওয়ার্নার ২৩*, বার্নস ১৬*; হেনরি ৫-২-১১-০, ডি গ্র্যান্ডহোম ৩-১-৯-০, ওয়েগনার ৪-১-১২-০, সমারভিল ৪-০-৭-০)