বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে সিলেট থান্ডারকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী রয়্যালস।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার সিলেটকে ১৪২ রানে আটকে রেখে রাজশাহী জিতেছে ২৯ বল বাকি রেখেই।
দুঃস্বপ্নের টুর্নামেন্টে ১১ ম্যাচের ১০টিই হারল সিলেট। বাকি আছে তাদের কেবল আর একটি ম্যাচ। ১০ ম্যাচে ৭ জয়ে আপাতত পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রাজশাহী।
২ ছক্কায় ১১ বলে ১৬ করে আব্দুল মজিদ ফিরেন আবু জায়েদের বলে বোল্ড হয়ে। ফ্লেচার ২৫ রান করতে খেলেন ৩৩ বল। তিনে নেমে জনসন চার্লস ফেরেন ৮ রানে।
মাঝে মোহাম্মদ মিঠুন ও শেরফেইন রাদারফোর্ডের জুটির সময়ই একটু গতি পায় ইনিংস। ২২ বলে ৪৭ রান যোগ করেন দুজন। সম্ভাবনাময় এই জুটি ভাঙে দুজনের দৃষ্টিকটু ভুল বোঝাবুঝিতে। ৩৮ বলে ৪৭ করে রান আউট হয়ে যান মিঠুন।
অলক কাপালির লেগ স্পিনে পরপর দুটি ছক্কা মারেন রাদারফোর্ড। দ্বিতীয়টিতে লং অফে বল ফিল্ডারের হাতে লেগে যায় সীমানার বাইরে। পরের বলেই আউট হয়ে যান তিনি আরেকটি ছক্কার চেষ্টায়। ওই ওভারে সোহাগ গাজীকেও বিদায় করেন অলক।
শেষ দিকে নাজমুল হোসেন মিলন একটি ছক্কা মারলেও ১১ বল খেলে করেন কেবল ১৩ রান। শেষ ৩ ওভারে সিলেট তুলতে পারে মাত্র ১৪ রান।
মাঝারি সেই পুঁজিতেও সিলেটের যদি আশা কিছু থাকত, লিটন দাস ও আফিফ হোসেন তা গুঁড়িয়ে দেন শুরুতেই। টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা বোলার ইবাদত হোসেনের এক ওভারে দারুণ একটি চারের পর চোখধাঁধানো দুটি শটে ছক্কায় ওড়ান লিটন। ইবাদতকেই পরের ওভারে তিনটি চার মারেন আফিফ।
দুজনের দুর্দান্ত সব শটের পসরায় ৫ ওভারেই রান পেরিয়ে যায় পঞ্চাশ। লিটন যথারীতি দারুণ খেলেও আউট হন নিরীহ বলে বাজে ভাবে। ২০ বলে করেন ৩৬।
এরপর নাজমুল ইসলাম অপুর বাঁহাতি স্পিনে এক ওভারে তিন ছক্কা উপহার দেন শোয়েব মালিক। ২ ছক্কায় ৭ বলে অপরাজিত ১৭ করে ম্যাচ শেষ করে দেন মোহাম্মদ নওয়াজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট থান্ডার: ২০ ওভারে ১৪৩/ ( ফ্লেচার ২৫, মজিদ ১৬, চার্লস ৮, মিঠুন ৪৭, রাদারফোর্ড ২৫, সোহাগ ০, মিলন ১৩*, দেলোয়ার ২*; নওয়াজ ৪-০-১৫-০, আবু জায়েদ ৪-০-২৯-১, ইরফান ৪-০-১৮-১, কামরুল রাব্বি ৪-০-২৮-০, ফরহাদ ১-০-১১-০, মালিক ১-০-১৯-০, অলক ১-০-১৪-২, বোপারা ১-০-৩-০)।
রাজশাহী রয়্যালস: ১৫.১ ওভারে ১৪৫/৪ (লিটন ৩৬, আফিফ ৪৬, মালিক ২৭, শুক্কুর ১০, বোপারা ১*, নওয়াজ ১৭*; ইবাদত ৩-০-৩২-০, নাভিন ৩-০-৩৪-০, রাদারফোর্ড ৪-০-৩১-১, নাজমুল অপু ৩-০-৩৬-০, দেলোয়ার ২.১-০-১১-২)।
ফল: রাজশাহী রয়্যালস ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: আফিফ হোসেন