তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৮৩ রান। লাবুশেন ১৩০ ও ম্যাথু ওয়েড ২২ রানে ব্যাট করছেন।
সবশেষ সাত ইনিংসে চতুর্থ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন দারুণ ছন্দে থাকা লাবুশেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান ৯৭ বলে স্পর্শ করেন পঞ্চাশ। তিন অঙ্কে যান ১৬৩ বলে।
অসুস্থতার জন্য নিউ জিল্যান্ড পায়নি নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হেনরি নিকোলস ও স্পিনিং অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনারকে। হাত ভেঙে আগেই দেশে ফিরে গেছেন পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। ‘ক্লান্ত’ টিম সাউদির জায়গায় তরতাজা ম্যাচ হেনরিকে একাদশে ফিরিয়েছে নিউ জিল্যান্ড।
পাঁচ পরিবর্তনে একাদশে কমেছে অভিজ্ঞতা। মেলবোর্ন ম্যাচের একাদশের সম্মিলিত টেস্ট ছিল ৫৪০টি, সিডনি টেস্টে সেটি নেমে এসেছে ৩২৫-এ।
আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ছিলেন ফিফটির পথে। সিরিজে তাকে চতুর্থবারের মতো ফেরান নিল ওয়েগনার। গতিময় এই পেসারের লেগ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে লেগ গালিতে ধরা পড়েন ওয়ার্নার।
এক প্রান্তে সাবলীল ব্যাট করছিলেন লাবুশেন, আরেক প্রান্ত ভীষণ সাবধানী ছিলেন স্মিথ। প্রথম ঘণ্টায় কেবল ঠেকিয়েই গেছেন। রানের খাতা খোলেন ৩৯তম বলে। সেটিও সহজে হয়নি। রান পূর্ণ করতে ডাইভ দিতে হয় সঙ্গী লাবুশেনকে।
ধীরে ধীরে জমে ওঠে জুটি। পঞ্চাশ-একশ ছাড়িয়ে যায় দেড়শতে। ১৪৩ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন স্মিথ। দলের রান ছাড়ায় আড়াইশ। দ্বিতীয় নতুন বলে ১৫৬ রানের জুটি ভাঙেন ডি গ্র্যান্ডহোম। অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে স্লিপে রস টেইলরকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন স্মিথ। ১৮২ বলে খেলা ৬৩ রানের ইনিংস গড়া চারটি চারে।
দিনের বাকি সময় নিরাপদে কাটিয়ে দিয়েছেন লাবুশেন ও ওয়েড। একটু আক্রমণাত্মক ছিলেন ওয়েড। পুরোটা সময় আস্থার সঙ্গে খেলে গেছেন লাবুশেন। তার ২১০ বলের ইনিংসটি সাজানো ১২ চার ও এক ছক্কায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ২৮৩/৩ (ওয়ার্নার ৪৫, বার্নস ১৮, লাবুশেন ১৩০*, স্মিথ ৬৩, ওয়েড ২২*; হেনরি ২১-১-৬৮-০, ডি গ্র্যান্ডহোম ১৮-১-৬৩-২, ওয়েগনার ২১-৬-৪৮-১, সমারভিল ১৩-০-৫২-০, অ্যাস্টল ১৭-০-৪৯-০)