যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অধিনায়কের চোখ ফাইনালে

দক্ষিণ আফ্রিকা সফর আর ব্যর্থতা যেন যুগলবন্দী বাংলাদেশের জন্য। কঠিনতম চ্যালেঞ্জেই এবার বড় কিছু পাওয়ার আশা যুবাদের। অধিনায়ক আকবর আলী দেখছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা। কোচ নাভিদ নওয়াজের প্রথম লক্ষ্য নক আউট পর্ব, এরপর দেখবেন কতদূর যাওয়া যায়।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Jan 2020, 12:51 PM
Updated : 2 Jan 2020, 01:50 PM

১৯৯৮ সালের পর আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় বসতে যাচ্ছে যুব বিশ্বকাপ। সেই আসর দিয়ে এই টুর্নামেন্টে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের। সেবার নক আউট পর্বে উঠতে পারেনি তারা। পরে ক্রিস গেইল, রামনরেশ সারওয়ানদের ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে জিতেছিল প্লেটের শিরোপা।

আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা ৪০ মিনিটে এমিরেটসের ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়বে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। পচেফস্ট্রুমে করবে প্রস্তুতি ক্যাম্প। সেখানে স্থানীয় দলের সঙ্গে ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি করে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার অধিনায়ক আকবর জানালেন, কন্ডিশনের সঙ্গে পুরোপুরি মানিয়ে নিতে এবং টুর্নামেন্টের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হতে এই ক্যাম্পের দিকে তাকিয়ে আছেন তারা।

“বগুড়ায় আমরা তিন সপ্তাহের ক্যাম্প করেছি। সেখানে ঘাসের উইকেটে অনুশীলন করেছি। মূল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আমরা প্রায় দুই সপ্তাহের একটা ক্যাম্প করব। আশা করছি, সেটা আমাদের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে। আমরা বিশ্বাস করি, দলের জন্য ভালো কিছু নিয়ে ফিরতে পারব।”

গত বিশ্বকাপের পর থেকে ৩৩টি ওয়ানডে খেলে ১৮টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। হেরেছে ৮টিতে, টাই হয়েছে একটি, পরিত্যক্ত হয়েছে ছয়টি ম্যাচ। অধিনায়ক মনে করেন, দলের সাফল্যের জন্যই তাদের নিয়ে সবার প্রত্যাশা বেশি।

“সাম্প্রতিক অতীতে খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি…আমরা এখনই ফলাফলের দিকে তাকাচ্ছি না। বহু দূরেও তাকাচ্ছি না, সেটা হয়তো বাড়তি চাপ তৈরি করবে। প্রধান লক্ষ্য থাকবে নকআউট পর্বে যাওয়া এবং এরপর ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোনো।”

“আমাদের দলটা ফাইনালেও যেতে পারে বলে বিশ্বাস করি। আশা করি, আমরা খুব ভালো কিছু করব।”

‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের তিন প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, জিম্বাবুয়ে ও স্কটল্যান্ড। এই গ্রুপ থেকে পরের পর্বে যাওয়া প্রত্যাশিত। তবে কোনো কিছু নিশ্চিত ধরে নিচ্ছেন না নওয়াজ। এগোতে চান ধীরে কিন্তু দৃঢ়ভাবে। দলের ব্যাটিংকে এগিয়ে রাখছেন লঙ্কান কোচ। বোলারদের ওপরও তার আস্থার কমতি নেই।

“প্রথম লক্ষ্য অবশ্যই নক আউট পর্বে যাওয়া। এরপর আমরা ম্যাচ ধরে এগোবো। আশা করি, আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারব।”

“আমরা নিউ জিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সফর করেছি। শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ খেলে এসেছি। ছেলেরা মাঠে ও মাঠের বাইরে যা করেছে তাতে আমি খুশি। ব্যাটিং আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা। এর মানে এই নয় যে, আমাদের বোলিং বিভাগ দুর্বল। আমাদের ভালো একটি বোলিং আক্রমণ আছে। তবে আমরা নিজেদের ব্যাটিং বিভাগের ওপর অনেক নির্ভর করব।”

১৩ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে প্রথম অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ। এক দিন পর দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে নিউ জিল্যান্ডের।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১৮ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২১ জানুয়ারি খেলবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। ২৪ জানুয়ারি গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আকবরদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। তিনটি ম্যাচই হবে পচেফস্ট্রুমে।

১৭ জানুয়ারি শুরু হয়ে টুর্নামেন্ট চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ২৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি হবে চারটি কোয়ার্টার-ফাইনাল। ৪ ও ৬ ফেব্রুয়ারি হবে দুটি সেমি-ফাইনাল। ৯ ফেব্রুয়ারি হবে ত্রয়োদশ আসরের ফাইনাল।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: আকবর আলী (উইকেটরক্ষক, অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয় (সহ-অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, প্রান্তিক নওরোজ, মাহমুদুল হাসান, শাহাদাত হোসেন, শামীম হোসেন, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, তানজিম হাসান, অভিষেক দাস, শরিফুল ইসলাম, শাহিন আলম, রকিবুল হাসান, হাসান মুরাদ।

অপেক্ষমান: অমিত হাসান, মেহরাব হাসান, আশরাফুল ইসলাম, মিনহাজুর রহমান, রুবেল মিয়া, আসাদউল্লাহ গালিব