এমনিতে ব্যাটিং সামর্থ্যে এগিয়ে রাখতে হবে হয়তো সানজামুলকেই। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ব্যাট হাতে পারফর্ম করেন নিয়মিতই। মূলত বাঁহাতি স্পিনার হলেও অনেক সময় ব্যাট করেছেন টপ ও মিডল অর্ডারে। ব্যাট হাতে মুজিবের দক্ষতার প্রমাণ তেমন একটা মেলেনি আগে।
কিন্তু শেষ বলে ব্যাটিং সামর্থ্যের চেয়েও জরুরী চাপে ভেঙে না পড়া। কুমিল্লার টেকনিক্যাল পরামর্শক মিনহাজুল আবেদীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, মূলত সে কারণেই শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল।
“মুজিবকে আমরা নামিয়েছি নার্ভের কারণে। শেষ বলে নার্ভ ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। মুজিব বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে খেলে। চাপের মুহূর্তে অনেক খেলেছে, জানে কিভাবে সামলাতে হয়।”
“সানজামুল নেমে যাওয়ার সময় আমাদের ট্রেনার তুষার প্রথমে বিষয়টি তুলে ধরেন। আমাদেরও তাৎক্ষনিক মনে ধরে যায় তার ভাবনা। মুজিব প্রস্তুতই ছিল, দ্রুত সানজামুলকে ফিরিয়ে ওকে নামানো হয়। ফলও পেয়েছি আমরা।”
এর আগে ১৬০ রান তাড়ায় কুমিল্লাকে এগিয়ে নেন মালান। এক পর্যায়ে ৭ উইকেট নিয়ে তাদের প্রয়োজন ছিল কেবল ২৪ বলে ২৬ রান। কিন্তু নিজেদের ভুলে ভজকট পাকিয়ে পথ হারায় তারা। শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১৬ রান।
লিয়াম প্লাঙ্কেটের করা শেষ ওভারে টানা দুই বলে চার ও ছক্কা মারেন আবু হায়দার রনি। পঞ্চম বলে মালান রান আউট হন ৫১ বলে ৭৪ করে। শেষ বলের জন্য সানজামুল নেমে গেলেও আনা হয় ফিরিয়ে। মাঠে ঢুকেও ফিরে আসায় তিনি রিটায়ার্ড আউট।
কুমিল্লার সেটি নিয়ে ভাবনা ছিল না। বরং মুজিবের নায়কোচিত শটে পূরণ হয়েছে তাদের চাওয়া। প্লাঙ্কেটের বলটি যদিও ছিল ফুল টস। মুজিবের টাইমিং ও প্লেসমেন্ট ছিল দারুণ। মিড উইকেট দিয়ে বল সীমানার বাইরে।