বিশ্বকাপ শিরোপার পর যা হয়েছে, খুবই হতাশার: প্লাঙ্কেট

বেন স্টোকসের বীরত্ব গেঁথে আছে সবার মনে। গত বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডের জয়ে লিয়াম প্লাঙ্কেটের অবদান মনে রেখেছে কজন! বিশ্বকাপ জুড়ে মাঝের ওভারগুলোতে ভালো বোলিং করেছিলেন, ফাইনালে নিয়েছিলেন গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট। তারপরও এভাবে আড়ালে থাকাই যেন নিয়তি। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে এই বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের সফলতম পেসার তিনি। অথচ এবার বিশ্বকাপ জয়ের পরই তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দিয়ে দেয় ইংল্যান্ড। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্লাঙ্কেট শোনালেন তার আনন্দ-বেদনার কাব্য।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Dec 2019, 02:09 AM
Updated : 31 Dec 2019, 02:09 AM

বিশ্বকাপ দিয়েই শুরু করা উচিত হয়তো। কিন্তু দলের অনুশীলনের পরও আপনি যতক্ষণ ধরে রানিং ও ট্রেনিং করলেন, সেটি দেখে অন্য প্রশ্ন জাগল। বিশ্বকাপের আগে বলেছিলেন, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, লেব্রন জেমসের মতো বয়সকে চ্যালেঞ্জ করে আরও ফিট হতে চান। এখনও সেই লক্ষ্য আছে?

লিয়াম প্লাঙ্কেট: এখনও সেই পথেই আছি। জানি না কতদিন খেলব। তবে যতদিনই খেলি, দুনিয়ার যে জায়গায় যে দলে খেলি, আমি চাই দলের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটার হতে। আজকে যেমন দেখলেন, আমি এভাবেই বাড়তি রানিং, বাড়তি ট্রেনিং করি। আমি বয়সকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যেতে চাই। যত বয়স হবে, তত ফিট ও শক্তিশালী হতে চাই। অন্তত যতদিন ক্রিকেট মাঠে আছি।

কত দিন চলবে এই লড়াই?

প্লাঙ্কেট: যতদিন ইচ্ছে টিকে থাকছে। যতদিন খেলছি। কোথায় থামব জানি না। যতদিন মাঠে থাকছি, ততদিন অন্তত এটা ধরে রাখতে চাই।

বিশ্বকাপের পর ৫ মাস পেরিয়ে গেছি। ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন’ ব্যাপারটির সঙ্গে কি এখন মানিয়ে নিতে পেরেছেন?

প্লাঙ্কেট: (হাসি) হ্যাঁ, এখন অনেকটাই ধাতস্থ হয়েছি। বেশ কয়েক মাস হয়ে গেছে। অসাধারণ সময় কেটেছে। ইতিহাস গড়ার আনন্দ অতুলনীয়। স্পেশাল সব ক্রিকেটার নিয়ে গড়া দল ইংলিশ ক্রিকেটকে আরাধ্য ট্রফি এনে দিয়েছে। সবসময়ই আমার হৃদয়ে আলাদা জায়গা নিয়ে থাকবে এই সাফল্য। আমার জীবনের বড় এক অধ্যায় এটি।

ফাইনালের পর দিন দুয়েক ঘোরের মধ্যে ছিলাম। আস্তে আস্তে ব্যাপারটা হজম হয়েছে। তারপরও মাঝেমধ্যে চমকে গেছি, সত্যিই বিশ্ব চ্যাম্পিয়র আমরা! সাফল্য আমাদের প্রত্যাশিতই ছিল। তারপরও, যখন সত্যিই পেয়ে গেলাম, সেই অনুভূতি অনন্য।

সুপার ওভার শুরুর আগের অবস্থা কেমন ছিল? শেষ বলের আগে?

প্লাঙ্কেট: আমি জানতাম, আমরা জিতব। জানি, এখন বললে অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবে না। তবে আমার সত্যিই শতভাগ বিশ্বাস ছিল, যে কোনো কিছুই হোক, জয় আমাদেরই হবে। টেনশন অবশ্যই ছিল। তবে খুব নার্ভাস ছিলাম না। আমার আশেপাশে অনেককেই উত্তেজনায় কাঁপতে দেখেছি। স্নায়ুর ওপর দিয়ে ঝড় গেছে। আমি শান্তই ছিলাম। এমনকি জফ্রা (আর্চার) ছক্কা খাওয়ার পরও (সুপার ওভারের দ্বিতীয় বলে জিমি নিশামের ব্যাটে) আমার বিশ্বাস ছিল, আমরা ছাড়া কেউ জিততে পারে না।

শেষ বলের আগেও যথারীতি, শান্ত হয়ে অপেক্ষা করছিলাম। আমি জানতাম, জিততে যাচ্ছি।

শেষ বলে মার্টিন গাপটিলের রান আউটের পরই কি আপনারা জানতেন যে জিতে গেছেন, নাকি টাই হয়েছে বলে কোনো সংশয় ছিল?

প্লাঙ্কেট: জানতাম যে আমরা জিতেছি। সবাই জানত। রান আউট হয়েছে কিনা, এটা নিয়ে হয়তো দু-একজনের তখন সংশয় ছিল, দূরে ছিল যারা। তবে বাউন্ডারিতে এগিয়ে, আমরা এটা জানতাম। এত উত্তেজনা ছিল, এত আলোচনা। ওসব হিসাব-নিকাশ হয়ে গিয়েছিল।

ঠিক ওই সময়ের অনুভূতি মনে পড়ে?

প্লাঙ্কেট: জীবনের অন্যতম সেরা অনুভূতি। অন্যতম বলছি, কারণ বিয়ের অনুভূতিটাও আমার কাছে ছিল অনন্য। মনের মানুষটিকেই স্ত্রী হিসেবে পেয়েছি, ওই মুহূর্ত ছিল অসম্ভব ভালোলাগার। বিশ্বকাপ জয়ও। জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় দুটি অধ্যায়। অনির্বচনীয় অনভূতি।

ড্রেসিং রুমে ফেরার পর সবচেয়ে খ্যাপাটে উদযাপন ছিল কার?

প্লাঙ্কেট: মার্ক উড…যেন এই দুনিয়াতে ছিল না। খ্যাপাটে, পাগলাটে, মজার…। আরও অনেকেই অনেক মজা করেছে। ৪টি বছর একসঙ্গে যে স্বপ্ন দেখেছে দলটি, সেই স্বপ্ন ধরা দেওয়ার পর উদযাপন বাঁধনহারা হওয়ারই কথা। পরস্পরের সঙ্গ আমরা দারুণ উপভোগ করেছি সেদিন। মাঠ থেকে হোটেলে ফেরার পর পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, সবাইকে নিয়ে রাতভর হুল্লোড় চলেছে।

একটা লেখায় এসেছিল, বিশ্বকাপের ওই দেড় মাস নাকি উত্তেজনায় ঘুমাতে পারেননি ঠিকমতো!

প্লাঙ্কেট: মনে হয় না কোনো রাতে ৪ ঘণ্টার বেশি ঘুমাতে পেরেছি। উত্তেজনায়। অনেক চাপ ছিল। প্রত্যাশা ছিল। সবসময়ই মাথার ভেতর বিশ্বকাপ ঘুরছিল। বিছানায় যাওয়ার পর অনেক রকম ভাবনা খেলা করত মাথায়। ঘুম হতো না। তবে ক্লান্তি অনুভব করিনি বা শরীরে সেটির প্রভাব পড়েনি। মাঠে যখনই পা দিয়েছি, সবসময়ই চনমনে ছিলাম। কিছু করে দেখাতে মুখিয়ে ছিলাম।

ফাইনালে বেন স্টোকসের বীরোচিত পারফরম্যান্স ও শেষের নাটকীয়তায় বাকি সব আড়াল হয়ে গেছে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট নিয়ে আপনার বড় অবদান ছিল। একটু বঞ্চিত মনে হয়নি নিজেকে?

প্লাঙ্কেট: আমার কোনো অভিযোগ নেই। সবাই নিজের কাজটা করেছি বলেই আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি। আমি স্রেফ এটুকুতেই খুশি যে বিশ্বকাপ জুড়ে ও ফাইনালে দলের জয়ে অবদার রাখতে পেরেছি। সেটিই আমার তৃপ্তি। পাদপ্রদীপের আলো নিয়ে কখনোই চিন্তা করিনি। কখনোই ভাবিনি কৃতিত্ব কে নিচ্ছে বা পাচ্ছে। বেন স্টোকস সেদিন অতিমানবীয় পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। কৃতিত্ব যেটুকু তাকে দেওয়া হয়েছে, পুরোটাই ওর প্রাপ্য। ওর জন্য আমি খুশি। দল ট্রফি জিতেছে, এটিই আসল। নায়ক আমি হই বা অন্য কেউ।

শুধু বিশ্বকাপ ফাইনালে নয়, আগের বছর গুলোতেও একই ব্যাপার দেখা গেছে। আপনি সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়েছেন। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে এই চার বছরে দলের সফলতম পেসার আপনি। কিন্তু নায়কের কৃতিত্ব কমই পেয়েছেন!

প্লাঙ্কেট: অনেক সময়ই। হতেই পারে এমন। যেটি বললাম, আমার আপত্তি নেই। আমি নিজের কাজটা করেছি। মাঝের ওভারগুলোয় দলকে উইকেট এনে দিয়েছি। অধিনায়ক যে আশায় বল তুলে দিয়েছেন, তা পূরণ করার চেষ্টা করেছি। চোখধাঁধানো কিছু করার চেষ্টা করিনি। ৪০ রানে ২ উইকেট, ৫০ রানে ৩ উইকেট…গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করেছি। তারপরও নায়ক হওয়ার জন্য আমাদের দলে অনেক ভালো ব্যাটসম্যান, বোলার বা অলরাউন্ডার ছিল। তারকাদের ছায়ায় থেকে নিজের কাজ করে যেতে পেরেই আমি খুশি।

এই যে আড়ালে থেকে যাওয়া, সেটিই কি শেষ পর্যন্ত আপনার জন্য কাল হলো? গত চার বছরে দলের সফলতম পেসারকে বিশ্বকাপের পর চুক্তি থেকে বাদ দিল ইংল্যান্ড!

প্লাঙ্কেট: হতে পারে। তবে মূল কারণটা আমি নিজেও বুঝতে পারি। তারা তরুণদের দিকে ঝুঁকেছে। ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগের কথা ভেবেছে। যদিও আমি মনে করি না আমার সময় শেষ। তারপরও, তারা তাদের ভাবনা ভাবতেই পারে। আমার খারাপ লেগেছে, যেভাবে তারা ব্যাপারটি সামলেছে। যোগাযোগ খুব খারাপ ছিল। ভালোভাবে বুঝিয়ে বলতে পারত আমাকে। বাদ পড়ার চেয়ে বেশি খারাপ লেগেছে প্রক্রিয়ায়। আরও পেশাদারিত্বের সঙ্গে তারা সামলাতে পারতেন।

নতুনরা আসবে, তাদের ওপর লম্বা সময় বিনিয়োগ করা হবে, এটা তো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু আমাকে নিয়ে ভাবনাটা আমাকে পরিস্কার করে দিলেই পারত। আমি নিজে এখনও মনে করি, আরও কিছুদিন ভালো পারফর্ম করার মতো অবস্থায় আছি। নতুনদের স্বাগত জানাতে আমি সবসময়ই তৈরি। যথেষ্ট ভালো ক্যারিয়ার আমার। ছেলেবেলা থেকে সবসময় চেয়েছি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে। খেলেছি। বিশ্বকাপ জিতেছি। বোর্ড সামনে তাকাতেই পারে। কিন্তু যেটা বললাম, প্রক্রিয়াটা আমাকে কষ্ট দিয়েছে। যোগাযোগটা খুব বাজে ছিল।

আপনি তো টুইটারে হতাশার কথা জানিয়েছিলেন। পরে বোর্ড থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি বা কিছু বলেনি?

প্লাঙ্কেট: পরে আর কি বলবে? বলার কী থাকে! পরে বলা, না বলায় খুব একটা যায়-আসে না।

৭-৮ বছর আগে এমনিতেও আপনার ক্যারিয়ার থমকে ছিল। পরে নতুন ভাবে ফিরে এলেন পুরানো বলে কার্যকর বোলিং দিয়ে। এই যে ক্রস সিম ডেলিভারি, মাঝের ওভারে উইকেট তুলে নেওয়া, কিভাবে এতটা দারুণভাবে রপ্ত করেছেন?

প্লাঙ্কেট: একটা সময় তো নিয়মিতই নতুন বলে করতাম। অনেক সুইং পেতাম। একসময় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করতাম। তবে একটা সময় সুইং করাতে ভুগছিলাম। অনেক কিছু্ ঠিক হচ্ছিল না। বাইরে থাকতে হয়েছে অনেকটা সময়। তখন টিকে থাকার পথ খুঁজেছি। ক্রস সিম বল করা, ছোট ছোট সুইং, গতির হেরফের ও অন্যান্য বৈচিত্র্য যোগ করেছি। গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। ভেবেছি, মাঝের ওভারে গতিময় বোলিং কার্যকর হতে পারে।

ডারহাম ছেড়ে ইয়র্কশায়ারে আসার পর জেসন গিলেস্পি (সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসার ও সেই সময়ের ইয়র্কশায়ার কোচ) আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন নতুনভাবে নিজেকে গড়ে তুলতে।

গিলেস্পির সঙ্গে রসায়ন জমেছিল কিভাবে?

প্লাঙ্কেট: আস্তে আস্তে হয়ে গেছে। আমার ইয়র্কশায়ারে যাওয়ার একটা কারণ ছিল তার সঙ্গে কাজ করা। নিজে পেসার ছিলেন, অনেক অভিজ্ঞতা আছে তার। অনেক চড়াই-উৎরাই দেখেছেন। মনে হয়েছিল, কাজ হবে আমার।

আমি তখন একদমই এলোমেলো ছিলাম। ক্যারিয়ারের শুরুর আগের অবস্থায় ফিরে গিয়েছিলাম যেন। প্রথম দিন নেটে গিয়ে ভীষণ উল্টো-পাল্টা বোলিং করেছিলাম। সাইড নেটে গিয়ে বল লাগছিল। ভেবেছিলাম, গিলেস্পি হয়তো ভালোভাবে নেবেন না। কিন্তু তিনি বুঝেছেন। সময় নিয়ে কাজ করেন। গতি বাড়াতে সহায়তা করেন।

সেখান থেকে ইংল্যান্ড দলে ফেরা, বিশ্বকাপ জয়, ক্যারিয়ারে প্রাপ্তি অনেক। আমার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোয় গিলেস্পির অবদান অনেক।

কি মনে হয়, ইংল্যান্ডের হয়ে আবার খেলতে দেখা যাবে আপনাকে?

প্লাঙ্কেট: নিশ্চিত নই…জানি না। আমি তো খেলতেই চাই। ভালো পারফর্ম করার বিশ্বাসও আছে। কিন্তু সুযোগ পাব কি না, জানি না। আমি আগের মতোই নিজের ক্রিকেট উপভোগ করব। বিপিএল খেলছি, সামনে পিএসএল আছে। আগামী মৌসুমে সারের হয়ে মাঠে নামব আগের মতো করেই। তাদেরকে ট্রফি জেতানোর চেষ্টা করব। তারপর বাকিটা আর জানি না।

ক্যারিয়ার নিয়ে ভবিষ্যৎ ভাবনা?

প্লাঙ্কেট: যেখানে সুযোগ পাব, খেলব। দুনিয়ার যে প্রান্তে সুযোগ পাব, খেলব ও দলকে ট্রফি জেতানোর চেষ্টা করব। পিএসএল খেলব, আইপিএল খেলেছি। সামনে যদি সিপিএল বা এরকম টুর্নামেন্টে সুযোগ আসে, খেলব।

মর্গ্যানের সঙ্গে আপনার ভালো সম্পর্কের কথা বলছিলেন। ব্যক্তিগত সম্পর্কের বাইরে যদি অধিনায়ক হিসেবে তাকে দেখেন, সে অন্যদের থেকে কোথায় আলাদা?

প্লাঙ্কেট: সে ভালো অধিনায়ক কারণ সে ভালো একজন মানুষ। ভালো বলতে নরম-সরম বা বিনয়ী বোঝাচ্ছি না, সে সোজা-সাপ্টা। ড্রেসিং রুমে সত্য কথাগুলি বলে। যার ওপর সে ভরসা করেছে, বরাবরই তাকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে আস্থা রেখেছে। তার সবটাই স্বচ্ছ, সামান্যতম আড়াল বলে কিছু নেই। খুবই সৎ ও খোলামেলা। এসবের সঙ্গে ক্রিকেট মস্তিষ্কও দারুণ। ব্যাটসম্যান হিসেবে তো ম্যাচ উইনার বটেই। সেটিও তাকে ড্রেসিং রুমের সম্মান ও কর্তৃত্ব পেতে সহায়তা করেছে।

অনেক অধিনায়কের মতো সে খুব উচ্চবাচ্য করে না। মাঠে হয়তো খুব ছুটোছুটি করতে দেখবেন না। কিন্তু ঠিকই সক্রিয় থাকে এবং নিজের কাজটা করে।

আরেকটা বড় ব্যাপার, বিশ্বাস। অধিনায়কের ওপর বিশ্বাস করতে পারাটা জরুরি। আমার অধিনায়ক হিসেবে মর্গ্যানকে আমি শতভাগ বিশ্বাস করেছি। দলের অন্যরাও নিশ্চয়ই করেছে। সবার সঙ্গে ওর ব্যক্তিগত যোগাযোগ ভালো। এজনই সাফল্য এসেছে।

যাদের বোলিং করেছেন, তাদের মধ্যে সেরা ব্যাটসম্যান?

প্লাঙ্কেট: এবি ডি ভিলিয়ার্স। আমার মতে সে সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান। তিনটি সংস্করণেই সে যেভাবে দাপটে খেলেছে, অনেক বছর ধরে দাপট ধরে রেখেছে এবং প্রতিটি সংস্করণের জন্য তার যে স্কিল সেট, সব মিলিয়ে তাকে আমার সবচেয়ে পরিপূর্ণ মনে হয়।

গত বিপিএলে খেলেছেন, বেশ ভালো করেছেন। এবারও এসেছেন (খেলছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে)। জাতীয় দলের হয়ে এসেছেন বাংলাদেশে। বিশেষ কিছু মনে পড়ে?

প্লাঙ্কেট: আমার জীবনে সবচেয়ে গরমের মধ্যে খেলেছি বাংলাদেশে। মূল সিরিজের আগে প্র্যাকটিস ম্যাচ ছিল সেটি (২০১৬ সালে)। অক্টোবর মাসেও প্রচণ্ড গরম ছিল। আমি ১০ বল করেই বের হয়ে গিয়েছিলাম। পরে ফিরে মোট ৬ ওভার করতে পেরেছিলাম। এত গরমে জীবনে আর খেলিনি।