মন খারাপ করে বসে থাকলে হবে না: তাসকিন

“এবারের বিপিএলে দেখে নিয়েন আমার গতি”, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বলেছিলেন তাসকিন আহমেদ। গর্জন যত ছিল, বর্ষন ততটা হয়নি। বিপিএলে এবার তার গতি হতাশাজনক। আরও বেশি হতাশার ছিল তার সামগ্রিক বোলিং। তবে সেই হতাশা পেছনে ফেলে সামনের ম্যাচগুলিতে ভালো কিছু উপহার দিতে চান তাসকিন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2019, 11:58 AM
Updated : 29 Dec 2019, 11:58 AM

এবারের বিপিএলে রংপুর রেঞ্জার্সের পারফরম্যান্সের যেমন দৈন্যদশা, তাসকিনের পারফরম্যান্সের চিত্রও একইরকম। পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকা দলটির হয়ে কেবল ৩টি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন তাসকিন। তার বোলিং ছিল যাচ্ছেতাই। নিয়মিত ১৩০ কিলোমিটার গতিতেই বল করতে ধুঁকেছেন।

তাসকিনের শুরুটাই ছিল বাজে। আসরের প্রথম দিনে ৩ ওভারে রান দিয়েছিলেন ৩৯। পরের ম্যাচে ১ ওভারে দিয়েছেন ১৪। বাদ পড়েন দল থেকে। পরে আরেকটি ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ২ ওভারে দেন ২৩। তিন ম্যাচে ৬ ওভারে ৭৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। একাদশে সুযোগ মেলেনি আর।

রোববার মিরপুর একাডেমি মাঠে রংপুরের অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজের হতাশা লুকাননি তাসকিন।

“আসলে কিছুটা দুঃখজনক, সবশেষ তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। এটা আসলে ক্যারিয়ারের অংশই। সামনে সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করব। যে তিনটি ম্যাচ খেলেছি, কোনো উইকেট পাইনি। তবে এটা নিয়ে আসলে মন খারাপ করে বসে থাকলে হবে না। ট্রেনিংয়ে চেষ্টা করছি উন্নতির। সামনে সুযোগ পেলে কাজে লাগাতে পারব আশা করছি।”

বিপিএলের আগে জাতীয় লিগে দারুণ পারফরম্যান্স ছিল তাসকিনের। তার চাওয়া ছিল, বিপিএলে ভালো করে জাতীয় দলে ফেরার পথ তৈরি করা। উল্টো বিপিএলের পারফরম্যান্সে দূরে সরে গেছেন সেই পথ থেকে। নিজের সেই ব্যর্থতাও মেনে নিচ্ছেন তিনি।

“সত্যি কথা বলতে, দুই-একটা লুজ বল হয়েছে, ওগুলোতে বাউন্ডারি হয়েছে। চট্টগ্রামে উইকেট এমন যে ভালো বলেও বাউন্ডারি এসেছে। সবমিলিয়ে ব্যাটিং বান্ধব উইকেট এবারের বিপিএলে, সব বোলারই মোটামুটি খরুচে। যদিও এটা অজুহাত হতে পারে না যে উইকেট ব্যাটিং বান্ধব। ভালো করতে পারিনি, এটা আমারই ব্যর্থতা। চেষ্টা করব সামনে সুযোগ পেলে ভালো করার।”