চার দিনেই শেষ হয়েছে মেলবোর্ন টেস্ট। ২৪৭ রানের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০তে এগিয়ে গেছে টিম পেইনের দল। পার্থে সিরিজের প্রথম টেস্টে তারা জিতেছিল ২৯৬ রানে।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে রোববার ৪৮৮ রানের লক্ষ্যে ২৪০ রানে গুটিয়ে যায় কিউইরা। ২১০ বলে ১৫টি চারে ১২১ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ওপনিংয়ে নামা ব্লানডেল। দলের কেউই তাকে সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেনি।
৩৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে টপ অর্ডারে ধস নামান জেমস প্যাটিনসন। তবে মিডলঅর্ডারে কাউকে দাঁড়াতে না দেওয়া লায়ন হলেন দিনের সেরা বোলার। অভিজ্ঞ অফস্পিনার নেন ৮১ রানে ৪ উইকেট।
তবে দিনের গল্পের অনেকটাই ব্লান্ডেলকে ঘিরে। বিজে ওয়াটলিংয়ের ইনজুরির সুযোগে অভিষেক হয়েছিল দুই বছর আগে। অভিষেকে আট নম্বরে নেমে করেছিলেন সেঞ্চুরি। পরের টেস্টে ভালো করেনি। ওয়াটলিং ফেরায় বাদ পড়েন দল থেকে। নিয়মিত ওপেনার জিত রাভাল ভালো করতে না পারায় মূলত তাকে দেওয়া হয় ওপেনিংয়ের চ্যালেঞ্জ। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে এর আগে কখনও ওপেন করেননি ব্লান্ডেল। তবু ২৯ বছর বয়সী কিপার-ব্যাটসম্যান শুধু চ্যালেঞ্জে জিতলেনই না, নিউ জিল্যান্ডের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে করলেন সেঞ্চুরি।
নিউ জিল্যান্ড ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় মূলত প্রথম ইনিংসেই। অস্ট্রেলিয়ার ৪৬৭ রানের জবাবে মাত্র ১৪৮ রানে গুটিয়ে যায় দলটি।
প্রথম ইনিংসের ৩১৯ রান মিলে কেন উইলিয়ামসনের দলের সামনে দাঁড়ায় বিশাল লক্ষ্য।
সেই লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি উইলিয়ামসন। ৩২ রানে উদ্বোধনী জুটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান উইলিয়ামসন এলবিডব্লিউ হন কোনো রান না করেই। একই ওভারে বোল্ড হন আরেক ভরসা রস টেইলর। তিন জনই পরিণত হন প্যাটিনসনের শিকারে।
চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেটে দুটি ফিফটি জুটিতে ব্লানডেলকে কিছুটা সঙ্গ দেন যথাক্রমে হেনরি নিকোলস ও কিপার-ব্যাটসম্যান ওয়াটলিং। তবে তা হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া ম্যাচের ফলে কোনো প্রভাব ফেলেনি।
দুজনই হন লায়নের শিকার। ব্লান্ডেল আউট হন অনিয়মিত বোলার মার্নাস লাবুশেনের স্পিনে।
আঙুলের চোটে সিরিজ শেষ হয়ে যাওয়া ট্রেন্ট বোল্ড ব্যাটিংয়ে নামেননি।
দলের টানা চতুর্থ জয়ের ম্যাচে প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান হেড হয়েছেন ম্যাচসেরা।
সিরিজের শেষ টেস্ট শুরু হবে আগামী শুক্রবার, সিডনিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৪৬৭
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১৪৮
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ৫৪.২ ওভারে ১৬৭/৫ ইনিংস ঘোষণা (আগের দিন ১৩৭/৪) (ওয়ার্নার ৩৮, বার্নস ৩৫, লাবুশেন ১৯, স্মিথ ৭, ওয়েড ৩০*, হেড ২৮; বোল্ট ৯-০-৩০-০, সাউদি ১৫-৩-৪৪-০, ডি গ্র্যান্ডহোম ৫-০-১৪-০, ওয়েগনার ১৭.২-১-৫০-৩, স্যান্টনার ৮-০-২২-১)
নিউ জিল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৭১ ওভারে ২৪০ (ল্যাথাম ৮, ব্লান্ডেল ১২১, উইলিয়ামসন ০, টেইলর ২, নিকোলস ৩৩, ওয়াটলিং ২২, ডি গ্র্যান্ডহোম ৯, স্যান্টনার ২৭, সাউদি ২, ওয়েগনার ৬*, বোল্ট , আহত অনুপস্থিত; স্টার্ক ১৫-৩-৫৯-০, কামিন্স ১৮-৪-৪৭-০, প্যাটিনসন ১২-৩-৩৫-৩, লায়ন ২৩-৪-৮১-৪, লাবুশেন ৩-১-১১-১)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ২৪৭ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ট্রাভিস হেড
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ২-০তে এগিয়ে