সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য ৩৭৬ রান। শনিবার তৃতীয় দিন শেষ করেছে তারা ১ উইকেটে ১২১ রানে। ১১ চারে ৭৭ রানে অপরাজিত বার্নস।
জিততে ইংলিশদের চাই আর ২৫৫ রান। চার ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যেতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ৯ উইকেট।
এত রান তাড়ায় জয়ের নজির নেই ইংল্যান্ডের। গত অগাস্টে হেডিংলিতে ৩৫৯ রান তাড়ায় বেন স্টোকসের বীরত্বে অস্ট্রেলিয়াকে ১ উইকেটে হারানো জয়টিই ইংলিশদের রেকর্ড।
সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কও বলছে, ইংল্যান্ডের জন্য কাজটি অনেক কঠিন। এই মাঠে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডই যে ২৫১! সেটিকে অবশ্য শেষ ইনিংস বলাও মুশকিল। ২০০০ সালে বৃষ্টি বিঘ্নিত সেই ম্যাচে ফল বের করার স্বার্থে একটি করে ইনিংস না খেলেই ছেড়ে দিয়েছিল দুই দল। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড।
এবার রেকর্ড রান তাড়ায় ইংল্যান্ডের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। উদ্বোধনী জুটিতেই তারা পেয়ে যায় ৯২ রান। সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকা ডম সিবলি ফিরতি ক্যাচ দেন কেশভ মহারাজকে। প্রথম ইনিংসে ৪ রান করা এই ওপেনার এবার করেছেন ২৯।
অপর প্রান্তে বার্নস ছিলেন ওয়ানডে মেজাজে। ৬২ বলে তুলে নেন ফিফটি। দিন শেষে অপরাজিত আছেন ১১৭ বলে ৭৭ রানে। সঙ্গী জো ডেনলি ব্যাট করছেন ১০ রানে।
দিনের শুরুটা অবশ্য মন্দ ছিল না প্রোটিয়াদের। আগের দিনের পঞ্চম উইকেট জুটি আরও টেনে নেন অভিষিক্ত রাসি ফন ডার ডাসেন ও আনরিক নরকিয়া।
১১৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে টেস্ট অভিষিক্ত ফন ডার ডাসেন প্রথম ইনিংসে ফিরে গিয়েছিলেন ৬ রানেই। দ্বিতীয় ইনিংসে পান ফিফটির স্বাদ। ফিফটির পরপরই অবশ্য ফিরে যান। তার ৫১ রানই ছিল দলের সর্বোচ্চ।
নিজের পরের ওভারে নরকিয়াকেও শিকারে পরিণত করেন আর্চার। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা পেসার খেলেছেন ৪০ রানের মহামূল্য ইনিংস।
এরপর প্রথম ইনিংসের মতোই ইংলিশদের কিছুটা ভোগান কুইন্টন ডি কক ও ভার্নন ফিল্যান্ডার। সহজাত আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তিন ছয় ও দুই চারে ৩৪ রান করেন ডি কক।
তবে লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান ফিল্যান্ডার। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ৪৬ রান করে। প্রথম ইনিংসেও তার ব্যাট থেকে এসেছিল মূল্যবান ৩৫ রান।
মহারাজকে লং লেগে ক্যাচ বানিয়ে ক্যারিয়ারে তৃতীয় বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন আর্চার। দায়িত্বটি এখন ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ২৮৪
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১৮১
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ৬১.৪ ওভারে ২৭২ (আগের দিন ৭২/৪) (মারক্রাম ২, এলগার ২২, জুবাইর ৪, দু প্লেসি ২০, ফন ডার ডাসেন ৫১, নরকিয়া ৪০, ডি কক ৩৪, প্রিটোরিয়াস ৭, ফিল্যান্ডার ৪৬, মহারাজ ১১, রাবাদা ১৬*; অ্যান্ডারসন ১৩-১-৪৭-১, ব্রড ১১-২-৪২-১, আর্চার ১৭-১-১০২-৫, কারান ১২.৪-৩-৫১-১, স্টোকস ৮-১-২২-২)
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৪১ ওভারে ১২১/১ (বার্নস ৭৭*, সিবলি ২৯, ডেনলি ১০*; রাবাদা ৯-০-৪৮-০, ফিল্যান্ডার ১০-২-২০-০, নরকিয়া ৬-১-২০-০, প্রিটোরিয়াস ৬-১-১২-০, মহারাজ ১০-৩-১৬-০)