গত আসরে ১২ ম্যাচে ২০.৬৬ গড়ে ২৪৮ রান করেন আফিফ। একবারও যেতে পারেননি পঞ্চাশ পর্যন্ত, সর্বোচ্চ ছিল ৪৯।
এবার পাঁচ ইনিংসে একবার যেতে পেরেছেন পঞ্চাশ পর্যন্ত। আগের ম্যাচেই কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ৭৬ রানের ইনিংস। এর আগের তিনটি ইনিংস ছিল এমন ৩০, ১৯, ২২। এবার কুমিল্লার বিপক্ষে আউট হলেন ৪৩ রান করে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার শুরু থেকে খেলছিলেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। টাইমিং হচ্ছিল দারুণ। ভুল করলেন সৌম্য সরকারের স্টাম্পের বল কাট করতে গিয়ে। ব্যাটে খেলতে না পেরে হলেন বোল্ড। সম্ভাবনাময় আরেকটি ইনিংসকে পূর্ণতা দিতে না পারার পর মেনে নিলেন, ওই শট খেলা ঠিক হয়নি।
“ইনিংস বড় হওয়ার সুযোগ ছিল। এমন শট খেলা হয়তো উচিত হয়নি। হ্যাঁ, বলটা সোজা ব্যাটে খেলা যেত।”
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আফিফ ব্যাটিংয়ে নামেন মিডল অর্ডারে। খেলতে পছন্দ করেন তিনে। বিপিএলে লিটন দাসের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করছেন। জানালেন, টিম কম্বিনেশনের জন্য ওপেনিংয়ে রাজি হয়েছেন।
“আমি তো মূলত ওপেনার নই। তিন নম্বরে খেলতে পছন্দ করি। টিম কম্বিনেশনের জন্য আমাদের একজন ওপেনার দরকার ছিল। এইজন্য আমাকে ওপেন করতে বলা হয়েছে। তো ওপেন করা আর তিন নম্বরে খুব পার্থক্য নাই, তাই আমি রাজি হয়েছি।”
“আন্তর্জাতিক ম্যাচে আমি যেখানে ব্যাট করি, আর বিপিএলে যেখানে খেলছি, দুইটা পুরো ভিন্ন। ওখানে আমি অনেক নিচে খেলি, এখানে টপ অর্ডারে খেলছি। এখানে পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারছি, এটা বেশ সহজ হয়ে গেছে আমার জন্য।”
আগামী দুই বছরে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। সামনে বাংলাদেশের প্রচুর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আছে। সেগুলো নিয়ে না ভেবে আপাতত বিপিএলের দিকে আফিফের পূর্ণ মনোযোগ। এখানেই সারিয়ে নিতে চান নিজের বড় এক দুর্বলতা।
“গত বিপিএলে ছোট ছোট ইনিংস খেলেছি। ২০-৩০ রান করে আউট হয়ে গেছি। এবার চেষ্টা করছি এখান থেকে বড় ইনিংস যেন খেলতে পারি।”