সেঞ্চুরিয়নে বোলারদের দাপটের দিনে বিপদে ইংল্যান্ড

মনে হচ্ছিল কঠিন সময়টা পার করে দিয়েছেন জো রুট ও জো ডেনলি। এবারে ইংল্যান্ডের এগিয়ে যাওয়ার পালা। তখনই যেন জেগে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণ। দাপুটে বোলিংয়ে সফরকারীদের গুঁড়িয়ে দিয়ে দলকে এনে দেয় শতরানের লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো করছেন ইংলিশ বোলাররাও। তবে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দেওয়ার পথেই রয়েছে ফাফ দু প্লেসির দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2019, 04:08 PM
Updated : 27 Dec 2019, 04:08 PM

সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের দ্বিতীয় দিনে তিন ইনিংস মিলিয়ে পড়েছে ১৫ উইকেট। ৯ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে দিন শুরু করে ২৮৪ রানে থেমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস। এরপর প্রথম ইনিংসে ১৮১ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা।

সুপার স্পোর্ট পার্কে সোমবারের খেলা শেষে স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৭২ রান। প্রোটিয়ারা এগিয়ে রয়েছে ১৭৫ রানে।

রাসি ফন ডার ডাসেন ১৭ ও নাইটওয়াচম্যান এনরিক নরকিয়া ৪ রানে ব্যাট করছেন।

প্রথম ইনিংসের মতোই দ্বিতীয় ইনিংসেও প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন জেমস অ্যান্ডারসন। এলবিডব্লিউ করে বিদায় করে দেন এইডেন মারক্রামকে। প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেওয়া স্টুয়ার্ট ব্রড কট বিহাইন্ড করে ফিরিয়ে দেন তিনে নামা যুবায়ের হামজাকে।

একটু খরুচে বোলিং করা জফরা আর্চার ধরেন বড় দুই শিকার। ওপেনার ডিন এলগারকে থামানোর পর তুলে নেন অধিনায়ক দু প্লেসির উইকেট।

ছবি: আইসিসি

এর আগে প্রথম ইনিংস ব্যাট করতে নেমে নতুন বলে ভারনন ফিল্যান্ডার ও কাগিসো রাবাদার সামনে অসহায় ছিলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ররি বার্নস ও ডম সিবলি। কেউই যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।

কঠিন সময় মাটি কামড়ে পার করে দেন ডেনলি ও রুট। নতুন বলের দুই বোলার আক্রমণ থেকে সরার পর একটু আলগা হয় চাপ। মাঝে মধ্যে ভীতি ধরালেও অতোটা নিয়ন্ত্রণ ছিল না আনরিক নরকিয়ার বলে। নিয়ন্ত্রণ ভালো হলেও ততটা ভীতি ছড়াতে পারছিলেন না ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস।

জমে যাওয়া তৃতীয় উইকেট জুটি ভাঙেন ফিল্যান্ডার। কট বিহাইন্ড করে ফেরান রুটকে। ডেনলি ও বেন স্টোকসের জুটিতে ধাক্কা সামাল দিয়ে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড।

কট বিহাইন্ডের রিভিউ নিয়ে ডেনলিকে ফিরিয়ে ৭২ রানের জুটি ভাঙে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯ চারে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান করেন সর্বোচ্চ ৫০ রান।

ধসের শুরু এখান থেকেই। দারুণ এক ডেলিভারিতে জনি বেয়ারস্টোকে বোল্ড করার পর স্টোকসকে কট বিহাইন্ড করেন নরকিয়া।

সফরকারীদের ইনিংসের লেজটুকু দ্রুত মুড়ে দেন ফিল্যান্ডার ও রাবাদা। সফরকারীদের দুইশর আগেই থামিয়ে দলকে এনে দেন ১০৩ রানের লিড। ইংল্যান্ড শেষ ৭ উইকেট হারায় মাত্র ৩৯ রানে।

১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম বোলার ফিল্যান্ডার। রাবাদা ৩ উইকেট নেন ৬৮ রানে। উইকেটের পেছনে কুইন্টন ডি কক নিয়েছেন ছয়টি ক্যাচ। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ২৮৪

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৫৩.২ ওভারে ১৮১ (বার্নস ৯, সিবলি ৪, ডেনলি ৫০, রুট ২৯, স্টোকস ৩৫, বেয়ারস্টো ১, বাটলার ১২, কারান ২০, আর্চার ৩, ব্রড ২, অ্যান্ডারসন ০*; রাবাদা ১৫-১-৬৮-৩, ফিল্যান্ডার ১৪.২-৮-১৬-৪, প্রিটোরিয়াস ৮-২-২৩-১, নরকিয়া ১২-২-৪৭-২, মহারাজ ৪-১-১৮-০)

দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ২০ ওভারে ৭২/৪ (মারক্রাম ২, এলগার ২২, যুবায়ের ৪, দু প্লেসি ২০, ফন ডার ডাসেন ১৭*, নরকিয়া ৪*; অ্যান্ডারসন ৪-০-১৯-১, ব্রড ৫-২-৬-১, আর্চার ৭-১-৩৭-২, কারান ৪-২-৮-০, স্টোকস ১-১-০-০)