মাশরাফির ইঙ্গিতটা স্পষ্ট। এবারের বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে লম্বা সময় দল পাননি তিনি। অবশেষে দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে অষ্টম ধাপে তাকে দলে নেয় ঢাকা প্লাটুন। অনেক পরে দলে নিলেও অধিনায়ক হিসেবে অবশ্য তাকেই বেছে নিয়েছে ঢাকা।
প্রথম বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটেও তিনি অনেকটা সময় ছিলেন উপেক্ষিত। পরে তৃতীয় রাউন্ডে তাকে নিয়েছিল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স। সেই দলকে শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
মাশরাফি ভোলেননি সেসব। শুক্রবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে দল হারলেও তিনি বোলিং করেছেন দুর্দান্ত। পরে সংবাদ সম্মেলনে যখন উঠল তার প্রতি দলের প্রত্যাশার প্রসঙ্গ, ঢাকার অধিনায়কের কণ্ঠে যেন একটু অভিমানই ঝরল।
“আশা মানে কী… আমার কাছে, সবার কাছেই (আশা সমান)…। আমি তো প্রায় অবিক্রিতই থাকি, আশা কোথায় করে …(হাসি)! আশা করলে তো সবার আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ার কথা। আসলে এটা দলের মালিকরাই বলতে পারবে। সব দলই সমান প্রত্যাশা নিয়ে খেলে। আমরাও এই প্রত্যাশা নিয়ে খেলছি।”
এবারের আসরে অবশ্য এখনও সেরাটা দেখা যায়নি মাশরাফির। ৭ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৪টি। কয়েকটি ম্যাচে ছিলেন বেশ খরুচে। আগের তিন ম্যাচ উইকেটশূন্য থাকার পর অবশ্য শুক্রবার দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।
মাশরাফির মতে, দীর্ঘ সময় বাইরে থাকার পর মানিয়ে নিতে সময় লাগছে। বললেন, চেষ্টায় তার কমতি নেই।
“আমি নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে অতটা ভাবছি না। অনেক দিন পর মাঠে এসেছি, চেষ্টা করছি। প্রায় ৫ মাস পর এসেছি। মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছি। কোনো ম্যাচে ভালো, কোনোটায় খারাপ, আশা করি পুরো টুর্নামেন্ট যখন খেলব (ভালো করব)। টি-টোয়েন্টিতে তো বলা কঠিন যে এই ম্যাচেই ভাল করব। তবে চেষ্টা করছি সেরাটা দেওয়ার। কখনো হচ্ছে, হচ্ছে না।”